পুজোতেও চালু থাকবে আউটডোর

পুজোর সময়ে এই সঙ্কট কাটাতে নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দফতর। তারা জানায়, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা ছুটি নিতে পারেন, তবে সচল রাখতে হবে বিভাগ। নিয়মিত খোলা রাখতে হবে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ। একই ভাবে পুজোয় সক্রিয় থাকবে ‘র‌্যাপিড রেসপন্স টিম’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৩
Share:

পুজোর দিনগুলো বড় আনন্দের। কিন্তু কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেই বড় বিপদ। কারণ ছুটির মরসুমে চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রেও কার্যত ‘ছুটি’ ঘোষিত হয়ে যায়। হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দরজা খোলা থাকলেও দেখা মেলে না চিকিৎসক-নার্সদের।

Advertisement

পুজোর সময়ে এই সঙ্কট কাটাতে নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য দফতর। তারা জানায়, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা ছুটি নিতে পারেন, তবে সচল রাখতে হবে বিভাগ। নিয়মিত খোলা রাখতে হবে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ। একই ভাবে পুজোয় সক্রিয় থাকবে ‘র‌্যাপিড রেসপন্স টিম’। আর দফতরের এই নির্দেশ জেলায় কঠোর ভাবে মানা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। তাঁর কথায়, “পুজোর সময় আচমকা হাসপাতালগুলি পরিদর্শন করা হবে। এ জন্য তৈরি করা হয়েছে টিম। মহকুমা থেকে গ্রামীণ স্তর পর্যন্ত হাসপাতালের সুপারদের কাছে নির্দেশ পৌঁছেও গিয়েছে।”

দফতর সূত্রে খবর, পুজোর সময়ে সরকারি হাসপাতালে এসে কোনও রোগী যাতে ফিরে না যান, সে জন্য এই উদ্যোগ। হাসপাতাল সচল রাখতে ইতিমধ্যেই প্রতিটি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক সেরে ফেলেছেন কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, পুজোর সময় কোনও চিকিৎসক ছুটি নিলে বিভাগের অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা ছুটি নিতে হবে। অষ্টমীর দিন ছাড়া বাকি দিনগুলি খোলা থাকবে বহির্বিভাগ। খোলা থাকবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাযার্লয়ও।

Advertisement

এখন স্বাস্থ্য দফতরের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার নির্দেশে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হাজিরার তথ্য জেলায় পাঠিয়ে দিতে হয়। সঙ্গে ‘রেফার’ করলে কারণ ও বহিবির্ভাগের সব তথ্য পাঠাতে হয়। পুজোর সময়ে এই নিয়মের যাতে অন্যথা না হয়, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সুপারদের। ডিউটির দিন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে হাসপাতালে থাকতে হবে সব সময়ই। ঘাটাল হাসপাতালের সুপার কুণাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুজোর সময় স্বাস্থ্য পরিষেবার কোনও সমস্যা হবে না। সচল থাকবে প্রতিটি বিভাগ।”

পাশাপাশি পুজোর দিনগুলি প্রত্যেক গ্রামীণ ও মহকুমাস্তরের হাসপাতালে ‘র‌্যাপিড রেসপন্স টিম’ সক্রিয় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে বা রাস্তায় কোনও অঘটন ঘটলেই পৌঁছে যাবে তারা। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়েই তৈরি হয়েছে এই টিম।

প্রত্যেক বছর রোগীদের অসন্তোষের পর এ বার ব্যবস্থা নিয়েছে দফতর। দাবি মতো কাজ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন