আমন ধানের ক্ষতির রিপোর্ট জমা পড়ল জেলা কৃষি দফতরে। এমনকি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এই ক্ষতির ফলে আমন ধানের ফলন কম হতে পারে। ঝড় বৃষ্টিতে ধান গাছের ক্ষতি হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপূরে প্রায় ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি দফতর। ধান পাকার মুখে এ ভাবে ঝড় বৃষ্টিতে গাছ পড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত চাষিদের। তাই আমনের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। তবে চাষিদের আশ্বস্ত করে কৃষি দফতর জানিয়েছে জেলার অধিকাংশ চাষি এ বার প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় থাকার ফলে চাষের ক্ষতি হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে সমস্যা হবে না। পাশাপাশি শস্য বিমা ক্ষতিপূরণে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারই প্রথম কৃষি দফতর ক্রপ কাটিংয়ের সময় তথ্যের স্বচ্ছতা রাখতে স্মার্ট ফোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। কারণ এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় থাকা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বিমা কোম্পানিগুলি। জমির ফসল নষ্ট হয়েছে কিনা জেলা ও রাজ্যের কৃষি আধিকারিকরা সরাসরি জানতে পারবেন। এ জন্য ক্রপ কাটিং এক্সপেরিমেন্ট এগ্রি অ্যাক্ট চালু হয়েছে।
জেলার কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা (প্রশাসন) সুশান্ত মহাপাত্র জানান, পূর্ব মেদিনীপূরে এই বছর ২ লক্ষ ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭১ হাজার হেক্টর জমি ধান চাষ ঝড় বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ব্লক কৃষি অফিসাররা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় ব্লক হলদিয়া, মহিষাদল, নন্দীগ্রাম, কাঁথি এবং এগরা মহকুমার ব্লকগুলি। জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, ‘‘পূমাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি জাতের আমন ধানের চাষ বেশি হয়। এ বার ঝড় বৃষ্টিতে ধানের শিস ডুবে গিয়েছে। ফলে ধান পুষ্ট হতে না পেরে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই মাঠের জল বের করে দিয়ে পচনের হাত থেকে ধান বাঁচাতে হেক্সাকোনা জলের মধ্যে ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে চাষিদের।’’