বেশ কয়েকটি রেসিডেন্ট হাতি তাণ্ডব চালাল দাঁতনের কয়েকটি গ্রামে।
রবিবার রাতে দাঁতন ১ ব্লকের তররুই পঞ্চায়েতের লালপুর, পলাশিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমডিহা, নিলপুরা এবং আলিকষা পঞ্চায়েতের মহেশপুর গ্রামের মাঠের ধান এবং আনাজের খেত নষ্ট করেছে হাতিরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’তিনদিন আগেও এসেছিল হাতির দল। ফের রবিবার রাত নটা নাগাদ নয়াগ্রাম থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে তারা এলাকায় আসে। ভোরের আগেই এলাকাবাসীদের তাড়া খেয়ে ফের নদী পেরিয়ে জঙ্গলে চলে যায়। রাতে এলাকার মানুষ মশাল জ্বেলে হাতিগুলিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। ওই এলাকায় নদীর পাড় বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। সেখানে থাকা লোকজন গাড়ি ও আলো নিয়ে হাতি তাড়ানোর কাজে যোগ দেন। গ্রামগুলিতে থাকা ধান, আলু, কুমড়ো ও আনাজ খেত নষ্ট করেছে হাতিরা। স্থানীয় বাসিন্দা অশ্বিনীকুমার ঘোষ জানান, ৩০-৪০টি হাতি একসঙ্গে ছিল। ভোর ৩টে নাগাদ হাতিগুলি নয়াগ্রামে ফিরে গিয়েছে বলে বন দফতরের দাবি।
কয়েকদিন আগে কেশিয়াড়ির ডাডরা গ্রামেও কয়েকটি হাতির পাল ঢুকে আখের খেত নষ্ট করে। বেলদা বন দফতর হাতিগুলিকে তাড়িয়ে দেয়। সেই সময়ে দাঁতনের দিকেও কয়েকটি হাতিকে দেখা গিয়েছিল। কেন বারবার গ্রামে চলে আসছে হাতি? হাতি দলছুট হয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই বন দফতর সূত্রে খবর। বন আধিকারিকদের দাবি, মূলত খাদ্যের সন্ধানে এবং হাতি তাড়ানোর সময়ে কিছু হাতি দলছুট হয়ে যায়। তারাই মাঝেমধ্যে গ্রামে চলে আসছে। মাঝে মাঝে নদী পেরিয়ে রেসিডেন্ট হাতিগুলি লোকালয়েও ঢুকে পড়ছে।
বেলদা বন বিভাগের আধিকারিক সর্বাণী দাস বলেন, ‘‘ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে আবেদনের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’