জোড়া প্রকল্পে তহবিল আয় বাড়ানোর উদ্যোগ

নিজস্ব তহবিলে আয় বাড়াতে এ বার উদ্যোগী হল তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি। আপাতত পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ মাকের্ট কমপ্লেক্সগুলির সংস্কার-সহ নতুন ঘর তৈরি করে তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিল সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৬ ০৬:১০
Share:

নিজস্ব তহবিলে আয় বাড়াতে এ বার উদ্যোগী হল তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি। আপাতত পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ মাকের্ট কমপ্লেক্সগুলির সংস্কার-সহ নতুন ঘর তৈরি করে তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিল সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতি। এছাড়াও রাধানগর-কুঠিঘাট রাস্তায় একাধিক টোল ট্যাক্স বসানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দিলীপ মাঝির বক্তব্য, ‘‘এতে যেমন সমিতির আয় বাড়বে, তেমনই ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার বেকারদের কমর্সংস্থানও হবে।”

Advertisement

ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, ঘাটালের মনোহরপুর-২ এবং মনসুকা-১ পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি মিনি মাকের্ট রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির। ২০০৬ সালে নিজস্ব তহবিল ও সরকারি নানা প্রকল্পের টাকায় ওই দু’টি মাকের্ট তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে নজরদারির অভাবে মনোহরপুর-২ পঞ্চায়েতের মিনি মাকের্ট থেকে মাসিক ভাড়াও আদায় হত না এতদিন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির বৈঠকে বিষয়টি ওঠে। তারপরই ওই কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পঞ্চায়েত সমিতি। ব্যবসায়ীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে বকেয়া ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। সঙ্গে কমপ্লেক্সটি সংস্কারের আর্জিও জানান। ঘাটালের বিডিও সঞ্জয় পণ্ডিত বলেন, “আপাতত‌ বকেয়া ভাড়া নেওয়া হবে। পরে সেটি সংস্কারও করাও হবে। এবং ওখানেই আরও ১২টি নতুন ঘরও তৈরি হবে। সেগুলি স্থানীয় বেকার ছেলেদের বিলি করা হবে। তার থেকে একটা ভাল রোজগার হবে।’’ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য তৃতীয় অর্থ কমিশনের টাকায় নতুন ঘর তৈরি ও সংস্কার হবে। এর জন্য ৩০ লক্ষ টাকা অনুমোদনও হয়েছে।

তবে ওই পঞ্চায়েত সমিতিরই মনসুকা-১পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি সুপার কমপ্লেক্স তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। সেগুলি বিলি না হওয়ায় ছাদ থেকে জল পড়ছে। খসে পড়ছে চাঙরও। সূত্রের খবর, একই সঙ্গে ওই সুপার মাকের্টটি সংস্কারের জন্যেও ৬ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়ছে। চলতি সপ্তাহ থেকেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে। কাজ শেষ হলেই স্থানীয় বাজার দরে লটারির মাধ্যমে সেগুলি বিলি করা হবে।

Advertisement

পাশাপাশি রাধানগর-কুঠিঘাট রাস্তায় দু’টি জায়গায় টোল ট্যাক্স বসানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। অর্থাৎ সামনের মাস থেকেই ওই সড়ক দিয়ে কোনও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করলে কর লাগবে। বিডিওর কথায়, ‘‘টোল ট্যাক্স ও সুপার কমপ্লেক্স থেকে বছরে ৩০ লক্ষ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন