দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় অনড় পঞ্চায়েত সদস্যরা

দলীয় নেতৃত্বদের নির্দেশকে উপেক্ষা করেই দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে অনড় থাকলেন তৃণমূলের সাত পঞ্চায়েত সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৬ ০৭:১১
Share:

দলীয় নেতৃত্বদের নির্দেশকে উপেক্ষা করেই দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে অনড় থাকলেন তৃণমূলের সাত পঞ্চায়েত সদস্য।

Advertisement

গত ২৬ মে দাসপুর-১ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বাসুদেবপুর অঞ্চল প্রধান কোহিনুর খাতুনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন দলের সদস্যরা। সাত সদস্যকেই ডাকযোগে দল বিরোধী কাজ থেকে সরে আসার জন্য চিঠিও পাঠান দলের ওই ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্র। তাতেও বরফ গলেনি। এমনকী আগামী ২১ জুন অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির দিনও ঠিক হয়ে গিয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকী রঞ্জন প্রধান বলেন, “২১ তারিখে পঞ্চায়েতের নিয়ম মেনে তলবি সভা ডাকা হয়েছে। ওই দিন অঞ্চল প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে।”

তৃণমূলের দাসপুর-১ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্রের বক্তব্য, “আমরা দলীয় ভাবে বিষয়টি যাতে মিটে যায়-তার চেষ্টা করেছিলাম। প্রধান ও সাত সদস্যদের নিয়ে আলাদা ভাবে আলোচনাও হয়েছিল। তাতে সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে-তাও জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।” ২১ জুনের পরই দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। পঞ্চায়েত প্রধান কোহিনুর খাতুন বলেন, “আমি চিঠি পেয়েছি। ভোটাভুটির জন্য প্রস্তুত।”

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, দাসপুর-১ ব্লকের বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৯টি। তার মধ্যে ১২টি তৃণমূলের। বাকি সাতজন সিপিএমের। প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা প্রসঙ্গে দলীয় সদস্য সৈয়দ আবদুল মইন, দিলীপ মাঝিরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের কথাকে মান্যতা না দিয়েই প্রধান তাঁর মতো করে পঞ্চায়েতটি চালাচ্ছেন। এতে দলের কিছু নেতার মদতও রয়েছে। বহুদিন থেকেই নেতৃত্বদের আমরা জানিয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতির বদল হয়নি। তাই অনাস্থা এনেছি। দল ব্যবস্থা নিতেই পারে। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন।”

তৃণমূলের দাসপুর-১ ব্লকের কোষাধ্যক্ষ কাজল সামন্তের অনুগামীরাই দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। কাজল সামন্ত আবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কমার্ধ্যক্ষ‌ শ্যাম পাত্রের ঘনিষ্ঠ ।অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান কোহিনুর খাতুন আবার দলের ওই ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্রের অনুগামী। ভোট মিটতেই দলের দু’পক্ষের কোন্দল সামনে আসায় অস্বস্তিতে দলের নেতৃত্ব। শ্যাম পাত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, “বিষয়টি ব্লক সভাপতিই দেখছেন।’’ আর কাজল সামন্তের বক্তব্য, ‘‘এখন কিছু বলব না। ভোটাভুটি মিটে যাওয়ার পর সমস্ত ঘটনা দলের উপর নেতৃত্বকে জানাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন