Fire

আগুনের আতঙ্ক কাটেনি, চার দিন পরেও মাছ বাজার জতুগৃহ

দিঘায় বেড়াতে এসে জমজমাট মোহনার মাছের বাজার ঘুরে দেখেননি বা এখান থেকে মাছ কিনে নিয়ে যাননি এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া ভার। এখন মোহনার সেই মাছের বাজারে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হা-হুতাশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:১১
Share:

পুড়ে যাওয়া মাছ বাজারের অংশ। নিজস্ব চিত্র

মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল একের পর এক দোকান। চার দিন বাদেও সেই দৃশ্য মনে পড়লে আতঙ্কে কাঁপছেন বাপি দলুই, দীপু পট্টনায়কের মতো অনেকে।গত শনিবার রাতে দিঘা মোহনা মাছ আড়ৎ যেন জতুগৃহ হয়ে গিয়েছিল। সারারাত হইচই, ছোটাছুটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ১০টির বেশি দোকান। দোকানে মজুত করা প্রচুর মাছও পুড়ে নষ্ট হয়ে যা। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই ছিল ইলিশ। সেই ক্ষত এখনও তাজা মৎস্যজীবীদের মনে। মাছের আড়তের কর্মী বাপি দলুই বলেন, ‘‘কাপড়ের দোকান-সহ মাছ, মাংসের দোকান পুড়ে গিয়েছে। পরের দিন ছাই ঘেঁটে পুড়ে যাওয়া ইলিশ মাছ পেয়েছি। করোনার কোপে মৃতপ্রায় অবস্থা। তার উপর এই অগ্নিকাণ্ডে সব শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ মাছের আড়তদার দীপু পট্টনায়কের কথায়, ‘‘ইলিশের একটি গুদামঘর একেবারে ভস্মীভূত। কার্যত শ্মশান হয়ে গিয়েছে এলাকা।’’

Advertisement

দিঘায় বেড়াতে এসে জমজমাট মোহনার মাছের বাজার ঘুরে দেখেননি বা এখান থেকে মাছ কিনে নিয়ে যাননি এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া ভার। এখন মোহনার সেই মাছের বাজারে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হা-হুতাশ।শনিবার রাতে আচমকাই আগুন লাগে মাছের বাজারে। রামনগর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন আয়ত্তে আনার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় দশটির বেশি দোকান। এর মধ্যে একাধিক মাছ, মাংস, কাপড় সহ বিভিন্ন রকমের দোকান ছিল বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। বিপর্যয়ের পর চার দিন কেটে গেলেও আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। লকডাউনে ক্ষতির মুখে পড়া মাছ ব্যবসায়ীরা মাছ ধরার ভরা মরসুমে উপার্জনের আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। কিন্তু আগুন সব শেষ করে দিয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কুড়ি লক্ষ-টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি। দিঘা মোহনা ফিশার মেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স আসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন