Suitcase

Panic: সুটকেসে আতঙ্ক, বিতর্কে পুলিশ

পৈড়িয়া হাউসে বাসস্ট্যান্ডে একটি বিদ্যুতের খুঁটির নীচে একটি সুটকেস পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পায় পুলিশ। ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াডকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১ ০৭:২৭
Share:

সুটকেস নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বৃদ্ধ। সঙ্গে এসডিপিও (সবুজ গেঞ্জি)। ছবি: রঞ্জন পাল।

ঝাড়গ্রাম: দাবিদারহীন সুটকেস ঘিরে আতঙ্ক। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে পুলিশ খুঁজে আনল দাবিদার। তাঁকে দিয়েই খোলানো হল সুটকেস। পাশে তখন দাঁড়িয়ে এসডিপিও। হাত লাগালেন তিনিও। নেই কোনও সুরক্ষাবর্ম। নেই বম্ব স্কোয়াড। বৃহস্পতিবার রাতে জামদা এলাকার পৈড়িয়া হাউসে বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের এই ভূমিকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত এ দিন বিকেলে। পৈড়িয়া হাউসে বাসস্ট্যান্ডে একটি বিদ্যুতের খুঁটির নীচে একটি সুটকেস পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পায় পুলিশ। ডাকা হয় বম্ব স্কোয়াডকে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেখার পর এলাকা ফাঁকা করে গার্ডরেল ঘিরে দেওয়া হয়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ১৮ নভেম্বর। ওই দিন ঝাড়গ্রাম থানার চন্দ্রি গ্রাম পঞ্চায়েতের শুকনাবাঁধের রাস্তার ধারে দু’টি সুটকেস পড়েছিল। বম্ব স্কোয়াড উপযুক্ত পদ্ধতি মেনে সুটকেসটি খোলার পর দেখা যায়, তাতে রয়েছে শুধু জামাকাপড়। এ দিনের সুটকেসটি বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার হওয়ায় পুলিশ হাতে পেয়েছিল একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ। তাতে দেখা যায়, একজন বৃদ্ধ (পরনে লুঙ্গি ও জামা এবং গলায় গামছা ঝোলানো) হেঁটে হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে আসেন। তাঁর এক হাতে ব্যাগ ও অন্য হাতে সুটকেস। বৃদ্ধ ওই সুটকেসটি বিদ্যুতের পোস্টের নীচে রাখেন। ব্যাগ রাখেন সুটকেসের পাশে। কিছুক্ষণ পর তিনি ব্যাগ হাতে নিয়ে বাসে চেপে দহিজুড়ির দিকে চলে যান।

সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমে পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘গতবারের মত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) মেনে নিষ্ক্রিয় করা হবে।’’ তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই বৃদ্ধের নাম রঞ্জিত দণ্ডপাট। বাড়ি বিনপুর থানার জীবনপুর গ্রামে। পুলিশকে রঞ্জিত জানান, তিনি শহরে একজনের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করতে এসেছিলেন। সেখান থেকে সুটকেসটি পান। তারপর সুটকেসটি বাড়ি নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছেন। পুলিশ রঞ্জিতকে গাড়ি করে তুলে নিয়ে আসে ঘটনাস্থলে। তাঁকে দিয়েই খোলানো হয় সুটকেস। সে সময় হাজির ছিল না বম্ব স্কোয়াডের কেউ। এসডিপিও অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য দাঁড়িয়ে ছিলেন বৃদ্ধের গা ঘেঁষে। সুটকেস খুলতে বৃদ্ধকে সাহায্য করতে দেখা যায় এসডিপিও-কে। প্রশ্ন উঠছে এটাই কি ‘এসওপি’? পুলিশ সুপারের মন্তব্যে, ‘‘ওই বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ খোঁজ নেয় শহরের সেই বাড়িতে যেখানে কাজে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ। সবদিক থেকে নিশ্চিত হয়েই ও ভাবে সুটকেস খোলানো হয়েছে। বম্ব স্কোয়াডকে মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

পুলিশকে নিশ্চিন্ত করে সুটকেস থেকে উদ্ধার হয়নি কিছু। পুলিশের গাড়ি করে বাড়ি ফেরার আগে রঞ্জিতও বললেন, ‘‘একটা ভুলে কী হয়রানি হল রে বাবা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন