ভেঙে পড়েছে গার্লস হস্টেলের ছাদের চাঙড়। নিজস্ব চিত্র
আচমকাই ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ল হস্টেলে। বুধবার মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় আবাসিক ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনার পরে দুই ছাত্রী হস্টেল ছেড়েছেন। জখম হয়েছেন এক জন।
কলেজের এই গার্লস হস্টেলটি নতুন হয়েছে। মাস কয়েক হল এখানে থাকা শুরু করেছেন আবাসিক ছাত্রীরা। নতুন হস্টেলের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ে কীভাবে? কাজ কি তবে নিম্নমানের হয়েছে? কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “এ রকম হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি দেখছি।” বৃহস্পতিবার বিকেলে হস্টেল পরিদর্শনে যান তিনি। তাঁর কথায়, “হস্টেল পরিদর্শন করেছি। অযথা আতঙ্কের কিছু নেই। ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যে পদক্ষেপ করার করছি।”
হস্টেলের তিনতলার এক ঘরে এই ঘটনা ঘটে। ওই ঘরে চার জন আবাসিক ছাত্রী থাকেন। হস্টেলের এক সূত্রে খবর, চাঙড় ভেঙে পড়ে ঝুমা খাতুন নামে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী জখম হন। তিনি হাত দিয়ে কোনও রকমে ভেঙে পড়া চাঙড় আটকে দেন। ফলে, বড় বিপদ এড়ানো যায়। চার ছাত্রীর মধ্যে দু’জন হস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। নির্মলবাবু মানছেন, “ঘটনার পরে দু’জন ছাত্রী বাড়ি চলে গিয়েছে। হয়তো আতঙ্ক থেকেই এটা হয়েছে। ওদের হস্টেলে ফেরার কথা বলা হচ্ছে।”
হস্টেলের এক ছাত্রীর কথায়, “পাঁচ মাস হল এখানে আমরা এসেছি। এটা নতুন হস্টেল। এরমধ্যেই এই ঘটনা।” হস্টেলের অন্য এক ছাত্রীর কথায়, “মনে হয় কাজের সময় গাফিলতি হয়েছে। না হলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। পলেস্তারা খসা ছাদ আর নোনা ধরা দেওয়াল তো পুরনো ভবনে দেখা যায়। নতুন হস্টেলের চাঙড় ভেঙে পড়বে কেন? সবদিক ভাল করে দেখা উচিত।” বড় চাঙরটি ভেঙে যে শয্যার উপরে পড়ে, সেখানে ঘটনার সময় কেউ ছিলেন না। এক আবাসিক ছাত্রীর কথায়, “ভাগ্যিস ওখানে কেউ ছিল না। না হলে যে কী হত। বড় কোনও অঘটন ঘটত।” কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্মল ঘোষের আশ্বাস, “হস্টেলে গিয়ে সবদিকই খতিয়ে দেখেছি। দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলাশাসক পি মোহনগাঁধীর সঙ্গে কথা বলেছেন নির্মলবাবু। জখম আবাসিক ছাত্রীর প্রাথমিক চিকিত্সা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আবাসিক ছাত্রীরা। আজ, শুক্রবার হস্টেল পরিদর্শনে আসতে পারেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁরা সবদিক খতিয়ে দেখবেন। ক্ষতিগ্রস্ত ছাদ সারানোর কাজ দ্রুতই শুরু হবে।