পাল্টা সভায় নজর নেত্রীর

লোক না আনতে পারলে কোপ পড়তে পারে পদে!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামবনি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৫
Share:

অতিথি: জঙ্গলমহল উৎসবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

লোক না আনতে পারলে কোপ পড়তে পারে পদে!

Advertisement

শাসক দল সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পাল্টা সভা নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের এ ভাবেই সতর্ক করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি, তিনি এ-ও জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি গড়শালবনির ওই পাল্টা সভায় কিন্তু খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে রয়েছে। তৃণমূল নেতারাও রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলছেন, স্মৃতির সভা থেকে অন্তত চার গুণ বেশি লোক হবে পাল্টা সভায়।

গত ২৩ জানুয়ারি গড়শালবনিতে সভা করেছিলেন স্মৃতি। সে সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, সভা ভরিয়েছিলেন ‘বহিরাগতে’রাই। জমায়েত নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোরের মাঝেই তৃণমূল ঘোষণা করে, গড়শালবনির যে মাঠে স্মৃতি সভা করেছিলেন সেখানেই আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সভা করবে তারা। সেই সভায় লোক টানতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। এরই মাঝে সোমবার একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন পার্থ। বিকেলে ঝাড়গ্রামে পর্যটন দফতরের রাজবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্সে সাংসদ, বিধায়ক, সব স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং নেতাদের নিয়ে ঘণ্টা দুয়েক বৈঠক করেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই পার্থ বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোন নেতা কত লোক আনলেন সে দিকে নজর রাখা হবে। কেউ সে কাজে ব্যর্থ হলে তাঁর পদ খোয়ানোরও সম্ভাবনা থাকবে। এক তৃণমূল নেতা জানান, মহাসচিব বার্তা দিয়েছেন, কোনওভাবে যেন এমন বার্তা না যায় যে, এখানে বিরোধীরা মাটি পেয়ে যাচ্ছে। ভেদাভেদ ভুলে প্রত্যেককে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাঠ ভরাতে তৎপর হওয়ায় নির্দেশও দিয়েছেন মহাসচিব। জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, ‘‘২ ফেব্রুয়ারির সভার কতর্ব্য স্থির করে দিয়েছেন মহাসচিব। বিজেপির সভার চার গুণ বেশি লোক জমায়েত করা হবে।’’

Advertisement

দলীয় নেতা, কর্মীদের যেমন সতর্ক করেছেন তেমনি নাম না করে বিরোধীদেরও সমালোচনা করতে ছাড়েননি পার্থ। এদিন দুপুরে জামব‌নি থানার লাগোয়া জামবনি হাইস্কুল মাঠে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে সপ্তম বর্ষ জঙ্গলমহল ক্রীড়া উৎসবের পুরস্কার বিতরণীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পার্থ বলেন, ‘‘অনেকে আছে ভাল দেখতে পারে না। দেখতে চায় না। নিজেরা ভাল করতে পারেনি সুতরাং অপরকে ভাল করতে দিতে চায় না।’’ পার্থের কথায়, ‘‘এই জেলার যে সব স্কুল-কলেজ পড়ুয়া উন্নত মানের ক্রীড়াশৈলীর প্রকাশ ঘটাচ্ছে, তাহলে তাদের নাম পৃথক ভাবে আমাদের দফতরে পাঠানো হলে আমরা তাদের তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেব। আমরা অতিরিক্ত ভাবে এটা করতে চাই।’’ পার্থ জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা ও খোলাধুলো এই তিনটি বিষয়ে শিক্ষা দফতর জোর দিচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন