বাসের ছাদে যাত্রী ও মাল তোলা নিষেধ, কিন্তু নজরদারি কোথায়

ওই সব রাস্তায় যাত্রীর চাপ থাকলেও বাসের সংখ্যা কম। তার ফলেই চলেছে এই ধরনের ঝুঁকির যাত্রী পরিবহণ। সন্ধ্যার পর আর ওই সমস্ত রুটে বাস পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

Advertisement

গোপাল পাত্র

পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০০:১৬
Share:

বাসের ছাদে অবাধে চলছে যাত্রী ও মালবহন। ডেবরা-বাজকুল সড়কে বাঙ্গুরচকের কাছে। ছবি: গোপাল পাত্র

আইন আছে তবে তা মানার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই নির্দ্বিধায় চলছে বাসের ছাদে যাত্রী ও মাল পরিবহণ। ডেবরা-বাজকুল রুটে প্রতিদিনই চোখে পড়বে এই ছবি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সব রাস্তায় যাত্রীর চাপ থাকলেও বাসের সংখ্যা কম। তার ফলেই চলেছে এই ধরনের ঝুঁকির যাত্রী পরিবহণ। সন্ধ্যার পর আর ওই সমস্ত রুটে বাস পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আইনের নিষেধ য়ে রয়েছে তা তাঁদের অগোচর নয়। কিন্তু যানবাহনের অভাবের কারণেই বাড়ি ফেরার তাগিদে এ ভাবে ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা যাতায়াত করতে বাধ্য হন বলে দাবি যাত্রীদের।

বালিচক থেকে প্রচুর মানুষকে ট্রেন থেকে নেমে বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে থাকতে হয়। তারপরেও যে বাস মেলে তাতে ঠাঁই ঠাঁই নেই অবস্থা। ফলে বাড়ি ফিরতে যে কোনও উপায় নিতে বাধ্য হন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন শুধু আইন তৈরি করে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চললেও বাসের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বালিচক-মেদিনীপুর হয়ে বেশিরভাগ বাস চলাচল করে। তাই জঙ্গলমহল থেকে শালপাতা সহ একাধিক জিনিসপত্র সহজেই এই জেলায় পৌঁছে দিতে বাসের ছাদে অবাধে মাল পরিবহণ চলে। প্রশাসনের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন এ ভাবেই চলছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের একাংশ পয়সা নিয়ে বাসগুলিকে আইন ভাঙতে সাহায্য করে। বাস মালিকদের দাবি, তাঁরা ইচ্ছে করে বাসের ছাদে যাত্রী বা মা পরিবহণ করনে না। কিন্তু বাসের সংখ্যা কম থাকার জন্য যাত্রীরাই তাঁদের বাধ্য করেন।

টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাঁদের দাবি, নজরদারি চলে এবং ধরপাকড়ও হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে অনেক রুটেই সন্ধ্যার পর বাস থাকে না। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের কথা ভেবে তাঁরাও কড়া হতে পারেন না। তবে বাসের ছাদে যাত্রী ও মালবহন যে বেআইনি তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন