ডেঙ্গির পর পিংলায় খোঁজ ম্যালেরিয়া আক্রান্তের

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “পিংলায় বিশেষজ্ঞ দলটি গিয়েছিল। হাসপাতালও পরিদর্শন করেছে। এর পরে আমাদের রিপোর্ট দিলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৮ ০৮:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পিংলায়। এ বার ব্লকের এক বাসিন্দার রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলল।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের গঠিত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের বিশেষ বিশেষজ্ঞ দল শুক্রবার পিংলা ব্লকে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিন জনের দল ব্লকের মালিগ্রাম, লক্ষ্মীবাড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই সঙ্গে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও পরিদর্শন করেন। প্রতিটি এলাকায় মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়াতে প্রচারও করা হয়েছে। পাশের ব্লক সবংয়ের ভেমুয়াতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সবং ব্লকের ৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ৪ জনই ভেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। বৃহস্পতিবারই এলাকায় পরিদর্শন করেছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল। এ দিন মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে ভেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসেও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “পিংলায় বিশেষজ্ঞ দলটি গিয়েছিল। হাসপাতালও পরিদর্শন করেছে। এর পরে আমাদের রিপোর্ট দিলে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। আসল কথা মশার আঁতুরঘর নষ্ট করতে হবে। ভেমুয়ায় মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠকেও সে কথা জানানো হয়েছে।”

Advertisement

চলতি মরসুমের শুরু থেকেই পিংলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মালিগ্রাম, লক্ষ্মীবাড়ি, উটপাতা, ছোট খেলনা, পশ্চিমচক, ক্ষ্মীরাই এলাকার মানুষ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। সরকারিভাবে রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকেও রক্তপরীক্ষা করাচ্ছেন অনেকে। মালিগ্রামের ছোট খেলনা গ্রামের বাসিন্দা সনাতন ভক্তা এক কোয়াক চিকিৎসকের মাধ্যমে গত ১১ অগস্ট রক্ত পরীক্ষা করে জানতে পারেন, তিনি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত। আপাতত তিনি সুস্থ হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে গুজরাতে কাজে গিয়েছিলেন সনাতনবাবু। গত ২ অগস্ট বাড়ি ফিরে আসেন। তার পরেই জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। সনাতনের দাদা সুবল ভক্তার দাবি, ‘‘আমাদের বাড়িতে একে-একে অনেকেরই জ্বর হয়েছে। এলাকায় মশা মারতেও তেমন কাজ হচ্ছেনা। তাই ভয়ে রয়েছি।”

এ নিয়ে জেলার মশাবাহিত রোগের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “আমরা ডেঙ্গি পাশাপাশি ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় জন্য সচেতনতা বাড়াতে প্রচার শুরু করেছি। পিংলার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত যুবক এখন সুস্থ রয়েছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার ও সমীক্ষার কাজ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন