গুদামে যন্ত্র, বাইরে করাতে হচ্ছে এক্স-রে

পুরনো এক্স –রে মেশিন চালানো-সহ নানা কাজ করতেন সাতজন কর্মী। চারজন স্থায়ী। তিনজন চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত। পিপিপি মডেলে এক্স-রে সেন্টার চালু হওয়া ইস্তক তাঁদের তেমন কোনও কাজ নেই। কেউ কেউ রসিদ কাটেন। কাউকে আবার সাময়িক সময়ের জন্য অন্য কোনও হাসপাতালে কাজে পাঠানো হয়।

Advertisement

দেবমাল্য বাগচী

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৭
Share:

এক বছর ধরে গুদাম ঘরে প়ড়ে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন।

Advertisement

তিন বছর ধরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে এক্স –রে সেন্টার চলছে হাসপাতালে। সেখানে রোগীরা এক্স-রে করাচ্ছেন। টাকা গুণছে সরকার।

পুরনো এক্স –রে মেশিন চালানো-সহ নানা কাজ করতেন সাতজন কর্মী। চারজন স্থায়ী। তিনজন চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত। পিপিপি মডেলে এক্স-রে সেন্টার চালু হওয়া ইস্তক তাঁদের তেমন কোনও কাজ নেই। কেউ কেউ রসিদ কাটেন। কাউকে আবার সাময়িক সময়ের জন্য অন্য কোনও হাসপাতালে কাজে পাঠানো হয়।

Advertisement

খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে এ ভাবেই চলছে এক্স-রে।

সরকারি টাকার অপচয় হওয়ায় ক্ষোভ ছড়াচ্ছে কর্মীদের মনে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের হাসপাতাল ইউনিটের উপদেষ্টা দিলীপ সরখেল বলেন, “আমাদের সরকারিভাবে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন এসে পড়ে রয়েছে। এমনকী, কর্মীরা বসে রয়েছেন। কিন্তু ওই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন চালু করা হচ্ছে না। অথচ পিপিপি মডেলে চলা এক্স-রে সেন্টারে এখন এক্স-রে হওয়ায় সেই সরকারি টাকা খরচ হচ্ছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়।”

কেন হাসপাতালে চালু করা যাচ্ছে না ডিজিটাল এক্স–রে?

এ নিয়ে হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “যখন সরকারি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন রয়েছে তখন অবশ্যই সেটা চালু থাকা উচিত। কিন্তু যে ভবনে ওই এক্স-রে বসানো হবে তা এখনও পূর্ত দফতর উপযুক্ত করে তৈরি করেনি। আমরা পূর্ত দফতরকে তিনবার চিঠি দিয়েছি। দেখা যাক!” পূর্ত দফতর দাবি করছে, প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্যভবনে। দফতরের আধিকারিক অম্বিকা পাত্র, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবনে প্রজেক্ট পাঠিয়েছি। অনুমোদন এসে গেলে কাজ হবে।’’

এখন রোগীদের এক্স রে করতে যেতে হচ্ছে (পিপিপি) মডেলে তৈরি সেন্টারে। সেখানে রোগীদের এক্স-রে করতে টাকা দিতে হয় না। ওই টাকা সেন্টারকে দেয় সরকার। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ওই সেন্টার অনেক ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির একাধিক এক্স-রে করায় বাড়তি খরচ হয় সরকারের। কিন্তু একই ব্যক্তির একাধিক এক্স-রে করতে হয় কেন? হাসপাতাল সূত্রের খবর, ছবি ভাল না হওয়ায় বহু ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ফের এক্স রে করাতে বলেন। খরচ কমিয়ে আনতেই ট্রমা কেয়ার ইউনিট চালুর পরে সরকারিভাবে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন পেয়েছে এই হাসপাতাল।

গুদামে ধুলো জমছে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনে। চলছে চিঠি চালাচালি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন