ঘাটালে আতসবাজির আড়ালেই নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
মাস কয়েক আগেই ঘাটাল শহরের আড়গোড়ায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ যায় এক যুবকের। ওই কারখানায় লাইসেন্স ছাড়াই নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরি হত বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেও নজরদারির বালাই নেই। দীপাবলির আগে ফের ঘাটাল শহর-সহ মহকুমা জুড়ে অবাধে বিকোচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি।
কমবেশি সারাবছরই বাজির বাজার রয়েছে ঘাটালে। তবে কালীপুজোর সময় বিক্রি বাড়ে। স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি অস্থায়ী দোকানেও বিক্রি হয় বাজি। ছবিটা এ বারও একই। ঘাটাল শহরের বিভিন্ন বাজারে ও রাস্তার ধারে প্রকাশ্যেই বিকোচ্ছে নানা শব্দবাজি। অভিযোগ, অধিকাংশ বাজি ব্যবসায়ীর কোনও লাইসেন্স নেই। মানা হচ্ছে না বাজি বিক্রির নিয়মও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল,দাসপুর ও চন্দ্রকোনার একাধিক গ্রামেই বছরভর বাজি তৈরি হয়। আতসবাজির পাশাপাশি নিষিদ্ধ শব্দবাজিও তৈরি হয়। প্রকাশ্যেই পড়ে থাকে বোম তৈরির নানা মশলা-উপকরণ। রাতের অন্ধকারে গাড়ি ভর্তি সেই বাজি পাচার হয়ে যাচ্ছে। কালীপুজোর মুখে এই ছবি ঘাটাল জুড়ে।
অভিযোগ, পুলিশি নজরদারির অভাবে দিনের পর দিন চলছে এই বেআইনি কারখানাগুলি। কারখানাগুলি বন্ধ করতে কোনও পক্ষেরই হেলদোল নেই।
লাইসেন্স ছাড়া বাজি বিক্রি নিষেধ। লাইসেন্সের জন্য ঝক্কিও তেমন নেই। তা সত্ত্বেও লাইসেন্স নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই বাজি কারবারীদের। ঘাটাল শহরের এক বাজি বিক্রেতার সাফাই, “লাইসেন্স থাকলে তো নিয়ম মানতে হবে। এত নিয়ম মানলে ব্যবসা লাটে উঠবে। ভয়েই লাইসেন্স করা হয়নি। পুলিশ তো সবই জানে।” আর এক বাজি বিক্রেতার অভিযোগ, “পুলিশ-প্রশাসনের লোকজনদের সঙ্গে বোঝাপোড়াতেই এই ব্যবসা হয়। লাইসেন্স থাকলেও লাভ হবে না।”
ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলছেন, ‘‘ঘাটাল শহরে বেআইনি বাজির কারবার বন্ধে পুলিশকে বলা হয়েছে। পুরসভাও নজরদারি চালাচ্ছে।’’
ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার কল্যাণ সরকার বলছেন, “অভিযানে নেমে একাধিক বাজি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শব্দবাজি বাজেয়াপ্তও করা হচ্ছে। নিয়ম না মানলেই মামলাও হচ্ছে।”