ব্লকের সদর এলাকা। ব্লক অফিস, থানা, স্কুল, কলেজ সবই এখানে। গোটা পঞ্চায়েত এলাকায় হাজার তিরিশেক মানুষের বাস। কিন্তু নতুন ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া ব্লক সদরে সরকারি-বেসরকারি কোনও ওষুধের দোকানই নেই। নেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারও।
প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় হচ্ছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। সেখানে বেলিয়াবেড়া ব্লক সদরে একেবারে উল্টো ছবি। কাছাকাছি ওষুধের দোকান বলতে ৬ কিলোমিটার দূরে তপসিয়ায়। সেখানে ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালের আশপাশে কয়েকটি ওষুধের দোকান রয়েছে। সামান্য প্রয়োজনেও সেখানেই ওষুধ আনতে ছুটতে হয় ব্লক সদরের বাসিন্দাদের।
বেলিয়াবেড়া ব্লক সদর এলাকায় হাতুড়েদের চেম্বারে অবশ্য ওষুধ পাওয়া যায়। তবে সেই ওষুধের মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া হাতুড়েদের দোকানে সব রকম ওষুধ পাওয়া যায় না। পেশায় শিক্ষক তুষারকান্তি দণ্ডপাট বলছিলেন, “দিনকয়েক আগে রাতে বাবা গ্যাস-অম্বলে খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৬ কিমি উজিয়ে তপসিয়ায় গিয়ে ওষুধ আনতে হয়।”
পরিস্থিতিতে দেখে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে বেলিয়াবেড়া পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন। ঠিক হয়েছে, ব্লক সদরে এ বার ওষুধের দোকান ও প্যাথলজিক্যাল সেন্টার চালু হবে বেলিয়াবেড়া ব্লক সদরে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ব্লক-সদরে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। সেখানেই দু’টি স্টল ওষুধের দোকান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য নির্দিষ্ট থাকছে। বাকি স্টলগুলি হাতের কাজের জিনিস, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, কম্পিউটারের দোকানের জন্য ভাড়া দেবে পঞ্চায়েত সমিতি। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে।
বেলিয়াবেড়ার বিডিও কৌশিক ঘোষ বলেন, “বদহজম, সর্দি-কাশি এমনকী সাধারণ কাটা-ছড়ার ওষুধ কিনতেও এতদিন ব্লক সদরের লোকজনকে ৬ কিলোমিটার দূরে ছুটতে হয়। এলাকাবাসীর দাবি মেনেই তাই এখানে ওষুধের দোকান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে।”