road

Traffic Jam: আঁধার রাস্তায় গাঁজার ঠেক, যানজটে জেরবার

সকাল হলেই রাস্তায় শুরু হয় যানজট।  খড়ার শহরের পুরাতন বাজারের চব্বিশ প্রহরতলার এই যানজট বহু পুরনো।

Advertisement

অভিজিৎ চক্রবর্তী

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০৪
Share:

অব্যবস্থা: খড়ার পুর এলাকার রাস্তার অবস্থা এমনই। কৌশিক সাঁতরা

চিরাচরিত পুর-পরিষেবা নিয়ে যা সমস্যা ছিল, তা তো রয়েইছে। তবে সে সবকে ছাপিয়ে আপাতত উঠে আসছে রামজীবনপুরে অন্ধকার রাস্তা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন। সন্ধ্যার পর আঁধার রাস্তায় বসছে গাঁজার ঠেক— অভিযোগ এমনই। আবার মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে খড়ার শহর জেরবার নিত্য যানজটে।

দৈনন্দিন যানজটে কার্যত সরু হয়ে যাচ্ছে খড়ার শহরের মূল রাস্তাটি। মোড় থেকে পূর্ত দফতরের ওই রাস্তাটি খড়ার শহর হয়ে বীরসিংহে গিয়ে মিশেছে। শহরের ওই মূল রাস্তাটিকে ঘিরেই যত অশান্তি। সকাল হলেই রাস্তায় শুরু হয় যানজট। খড়ার শহরের পুরাতন বাজারের চব্বিশ প্রহরতলার এই যানজট বহু পুরনো। সঙ্কীর্ণ রাস্তা দিয়েই সাইকেল, মোটরবাইক থেকে ছোট মালবাহী গাড়ির যাতায়াত। আর তার জেরে তৈরি হয় যানজট। তাতে কেবল মোটরবাইক বা সাইকেলই নয়, আটকে পড়েন পথচলতি মানুষও।
খড়ারের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ— রাস্তাটি একেই সঙ্কীর্ণ, তারপর সেটি দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। তার উপর পুর-এলাকার একাধিক রাস্তা চব্বিশপ্রহর তলায় এই মোড়ে এসে মিশেছে। আগেই মূল রাস্তার জমি দখল করে ঘর-বাড়ি তৈরি হয়েছিল। এখন সকাল হলেই রাস্তার উপর মালপত্র রেখে দেন ব্যবসায়ীরা। ফলে রাস্তা আরও সরু হয়ে যায়। কেবল যানজটই নয়, শহরের সঙ্গে গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগের জন্য সংযোগকারী রাস্তা তৈরিতেও ব্যর্থ পুরসভা। আশপাশের গ্রামীণ এলাকাগুলির উপর ভর করেই বেঁচে রয়েছে খড়ার বাজার। স্থানীয় কুরান, পুড়শুড়ি, কামদেবপুর, নিচনা-সহ বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকাগুলির সঙ্গে ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়নি। তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে শহরে। খড়ার পুরসভার প্রশাসক অরূপ রায় বলেন, “শহরের সঙ্গে গ্রামীণ এলাকার উন্নতির জন্য একাধিক রাস্তা তৈরি হয়েছে। যানজট কমাতে বিকল্প রাস্তাও তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

Advertisement

স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা খড়ারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ফাল্গুনী বীর এবং বিজেপি নেতা ফাল্গুনী মিশ্র দু’জনই বলেন, “খড়ার নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই পুরসভার। শহরে যানজট একটা বড় সমস্যা। কিন্তু বিকল্প রাস্তা তৈরি করে যানজট মেটাতে পুরসভার কোনও উদ্যোগ নেই।” রামজীবনপুর পুরসভায় ত্রিফলা বসেছে আগেই। এলইডি আলোয় মুড়ে ফেলা হয়েছে। তবে সেই আলো শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শহরের একপ্রান্তে আবার সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে অন্ধকার। কয়েকবছর আগে শ্রীনগর থেকে রামজীবনপুর শহর পর্যন্ত মূল রাস্তার ধারে এলইডি আলো বসিয়ে ছিল পুরসভা। তার মধ্যে বেশিরভাগ খুঁটির পথবাতি খারাপ হয়ে গেলেও নতুন বাতি লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ।

শহরবাসীর অভিযোগ, দফায় দফায় রামজীবনপুর শহরের ফাঁড়িগোড়া, বুড়ো শিবতলা, পুরাতন হাটতলা প্রভৃতি এলাকায় এলইডি, হাইমাস্ট আলো বসানো হয়েছে। কিন্তু বাইপাস থেকে কুমোরপাড়া রাস্তা, তেঁতুলতলা থেকে বকুলতলার রাস্তা কোনও পথবাতি নেই। খুঁটিতে থাকা লাইট কেটে গিয়েছে। অন্ধকার রাস্তায় শহরে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে। বাইপাস-সহ একাধিক রাস্তায় আবার গাঁজার ঠেক বসছে। সন্ধ্যার পর তাই শহরে বেশ কিছু রাস্তা সুনসান হয়ে যায়। তবে সে সবে হুঁশ নেই পুরসভার। পুরসভার প্রশাসক নির্মল চৌধুরী মানলেন, “গ্রামীণ ওয়ার্ডগুলিতে পথবাতি তুলনাই কম। এলইডি আলো বসানোর পদক্ষেপ করা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন