পিঠে নয়। মকর জুড়ে হাতির কথা।
হাতির আতঙ্ক নিয়েই পৌষপার্বণে মাতল গোয়ালতোড় থেকে গড়বেতা। সোমবার সন্ধ্যায় গোয়ালতোড়ের টাঙাশোলের জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে সাইকেল করে যাওয়ার সময় তিন যুবক কয়েকটি হাতির সামনে পড়ে যান। সাইকেল ফেলে দৌড়ে পালালেও তাঁদের সাইকেলগুলি আর আস্ত রাখেনি দাঁতালেরা। হাতিয়ার জঙ্গলের পাশের এলাকায় কয়েকটি মাটির ঘরের চালা একদিন আগেই ভেঙে তছনছ করেছে হাতি। এভাবেই আতঙ্কে কাটছিল পৌষের দিনরাত্রি। মঙ্গলবার ছিল পৌষ সংক্রান্তি। আতঙ্ক সঙ্গী করে বচ্ছরকার এই দিনটায় উৎসবে মাতলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খাওয়াদাওয়া, দেদার আড্ডা। তবে সবকিছুর মাঝেই ঘুরেফিরে আসছিল হাতির প্রসঙ্গ।
পাথরপাড়ার সিংলায় একদিনের মকর মেলায় এ দিন প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। বসে দোকানপাট, চলে বেচাকেনা। এই মেলা শুরুর আগেই সাতসকালে একটি হাতি মেলা প্রাঙ্গণের খুব কাছেই চলে এসেছিল বলে জানালেন স্থানীয় বসিন্দারা। হাতি এসে মেলা যাতে ভণ্ডুল না করে সে জন্য উদ্যোক্তারা লাঠিসোটা, পটকা বোম নিয়ে জঙ্গলের দিকে পাহারা দেন। মেলায় আসা উজ্জ্বল মাহাতো, পূরবী মাহাতরা বলেন, ‘‘মেলায় যাব। কিন্তু দুপুরের মধ্যেই ঘরে ফিরব। হাতি এলে ঘর যেতে পারব না।’’ গোয়ালতোড়ের সুন্দরগেড়িয়াতে এ দিন থেকে শুরু হল গঙ্গামেলা। । হুমগড়ের পাথরবেড়িয়ায় শিলাবতী নদীর তীরে বসেছে গঙ্গামেলা। হাতির আতঙ্কের মধ্যেও এই মেলাতেও প্রচুর মানুষ আসে এদিন। গড়বেতায় গনগনিতে শিলাবতী নদীর তীরে কয়েকবছর ধরেই মকরের দিন বসছে গঙ্গামেলা। এদিন হরেক দোকানে চলে দেদার বেচাকেনা। এই গনগনির আশেপাশের এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, ঘর ভাঙছে, নষ্ট করছে আলু-আনাজের খেত। হাতির আতঙ্কের মাঝেই মেলায় এসেছিলেন নদীপাড়ের গ্রাম বান্দুয়া, সরবনি, খরখরি গ্রামের বাসিন্দারা।