—প্রতীকী ছবি।
জঙ্গল রাস্তায় নেকড়ে দেখে ফের আতঙ্ক ছড়াল ঝাড়গ্রামে।
সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের উপকন্ঠে দুবরাজপুর থেকে বৃন্দাবনপুরের জঙ্গল রাস্তায় টোটোয় যাওয়ার সময় একটি নেকড়ে দেখেতে পান এক শিক্ষক। বৃন্দাবনপুর জুনিয়র হাইস্কুলের টিচার-ইনচার্জ অচিন্ত্য চট্টোপাধ্যায় প্রতিদিন ডেবরা থেকে স্কুলে যাতায়াত করেন। এ দিন ঝাড়গ্রাম থেকে টোটোয় স্কুল যাওয়ার সময় দুবরাজপুরের জঙ্গল রাস্তায় নেকড়েটিকে দেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি। অচিন্ত্য বলেন, ‘‘নেকড়েটা রাস্তার ডানদিকের ঝোপ থেকে বেরিয়ে আমাদের টোটোর সামনে বরাবর কিছুটা হেঁটে দ্রুত বাঁ দিকের ঘন জঙ্গলে ঢুকে যায়। রাস্তায় নেকড়ে দেখে খুব ভয় পেয়ে যাই।’’
কয়েকদিন আগেই ঝাড়গ্রামের সাতটি গ্রামে হানা দিয়ে ১০ জনকে কামড়ে জখম করেছিল একটি নেকড়ে। পরে গ্রামবাসীরা নেকড়েটিকে ধরলেও পরদিন চিড়িয়াখানায় সেটি মারা যায়। এ দিন যে রাস্তায় নেকড়ে দেখা গিয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে সারাদিনই লোকজন যাতায়াত করেন। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রায়ই নেকড়ে দেখা যায়। এ দিন জামবনির ভালুকা গ্রামের লাগোয়া জঙ্গল রাস্তায় দু’জন ব্যক্তি নেকড়ে দেখতে পান বলে দাবি করেন। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে এসে জঙ্গল ঘিরে ফেলেন। বনকর্মীরা গিয়ে অবশ্য নেকড়ের খোঁজ পাননি। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হোলাইচ্চি বলেন, ‘‘জঙ্গলের বন্যপ্রাণিরা মাঝে মধ্যে এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাওয়ার সময় জঙ্গল লাগোয়া রাস্তা ব্যবহার করে। সতর্ক ভাবে যাতায়াত করলে ভয়ের কিছু নেই।’’ ডিএফও জানাচ্ছেন, জঙ্গলে আগুন লাগালে ধোঁয়ায় বন্যপ্রাণীরা বেরিয়ে পড়ে। তাই জঙ্গলে আগুন না লাগানোর জন্য আবেদন করছে বন দফতর।