বেহাল সেতু দিয়েই যাতায়াত, ক্ষোভ

গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করে প্রতিদিন এই সেতু পেরিয়েই। হেঁটে গেলও সেতুটা মড়মড় করে। আর সাইকেল চেপে গেলে তো ভয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিন্তু এই পথ ছাড়া আর অন্য রাস্তাই বা কোথায়? তাই বাধ্য হয়ে প্রাণ হাতে করে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সাবলআড়া ও হোগোলবেড়িয়া গ্রামে সোয়াদিঘি খালের উপরের কাঠের সেতু দিয়ে যাতায়াত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৯
Share:

সোয়াদিঘি খালের উপর কাঠের সেতুর হাল এমনই। নিজস্ব চিত্র।

গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করে প্রতিদিন এই সেতু পেরিয়েই। হেঁটে গেলও সেতুটা মড়মড় করে। আর সাইকেল চেপে গেলে তো ভয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিন্তু এই পথ ছাড়া আর অন্য রাস্তাই বা কোথায়? তাই বাধ্য হয়ে প্রাণ হাতে করে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সাবলআড়া ও হোগোলবেড়িয়া গ্রামে সোয়াদিঘি খালের উপরের কাঠের সেতু দিয়ে যাতায়াত।

Advertisement

হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের কাঁকটিয়া বাজার থেকে হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় ৪১ নম্বর সড়ক পর্যন্ত গ্রামসড়ক যোজনার প্রায় চার কিলোমিটার পাকা রাস্তা। এই রাস্তার ধারেই রয়েছে সোয়াদিঘি খাল। খালের দু’ধারে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। গ্রামবাসী প্রতিদিন কাঁকটিয়া এবং রামতারকবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে এই সেতু পেরিয়েই। স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও এইসব সেতু পার হয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু বল্লুক ও সাবলআড়া গ্রামের মাঝে থাকা খালের উপর দুই কাঠের সেতু এবং হোগোলবেড়িয়া গ্রামে ওই খালের উপর থাকা দুই কাঠের সেতুর বেহাল অবস্থা নিয়ে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

বল্লুকহাটের কাছের কাঠের সেতু বহু পুরনো। খালের উল্টোদিকে থাকা সাবলআড়া, প্রসাদচক, রানীচক প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু সেতুটা এত সরু যে ভ্যান গেলে আর উল্টো দিক আসা সাইকেল যাতায়াত করতে পারে না। সেতু থেকে এক কিলোমিটার এগোলে বল্লুক বীণাপাণি গার্লস হাইস্কুলের কাছের সেতুটিও এখন বেহাল। সেতুর পাটাতনের কাঠ খুলে যাওয়ায় ও দু’ধারে ঘেরা না থাকায় যাতায়াত করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। সাবলাআড়া হাটের মুদি সুকুমার জানা বলেন, ‘‘ ওই সেতু পেরোতে গেলেই ভয় করে। পাকা সেতুর জন্য পঞ্চায়েত, প্রশাসনের কাছে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।’’ এই সেতু থেকে দেড় কিলোমিটার এগোলেই হোগোলবেড়িয়া গ্রামের শিবমন্দিরের কাছে কাঠের সেতুও বেহাল। স্থানীয় রিকশাচালক সনাতন পট্টানায়েক বলেন, ‘‘গত বর্ষা থেকেই সেতু বেহাল। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। বাধ্য হয়ে গ্রামের বাসিন্দারা মিলে মেরামত করেছে। এখন অনেকে সেতু এড়িয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করে।’’

Advertisement

জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার কল্পরূপ পাল বলেন, ‘‘আর্থিক সমস্যার কারণেই সোয়াদিঘি খালের উপর কাঠের সেতুগুলি সারাতে দেরি হচ্ছে। বর্তমানে ওই খালের কামিনাচক এলাকায় পাকা সেতু তৈরি হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে বাকি কাঠের সেতুগুলিও সারানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন