নির্দেশেই ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি

দুর্ভোগ ডাকঘরে

বছর ছয়েক আগে ডাকঘরে মাসিক আয় প্রকল্পে (এমআইএস) টাকা রেখেছিলেন খড়্গপুরের বুলবুলচটির গৌতম চট্টোপাধ্যায়। এজেন্টের মাধ্যমে টাকা জমা হয়েছিল। গত ১ মার্চ প্রকল্পের মেয়াদ ফুরনোয় ফের ওই এজেন্টকে ডাকেন গৌতমবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭ ০০:০০
Share:

খড়্গপুর ডাকঘর। ফাইল চিত্র

বছর ছয়েক আগে ডাকঘরে মাসিক আয় প্রকল্পে (এমআইএস) টাকা রেখেছিলেন খড়্গপুরের বুলবুলচটির গৌতম চট্টোপাধ্যায়। এজেন্টের মাধ্যমে টাকা জমা হয়েছিল। গত ১ মার্চ প্রকল্পের মেয়াদ ফুরনোয় ফের ওই এজেন্টকে ডাকেন গৌতমবাবু। ইচ্ছে ছিল প্রকল্প পুনর্নবীকরণ করবেন। কিন্তু এজেন্ট জানান, তা করা যাবে না। টাকা তুলে নতুন করে ওই প্রকল্পে জমা করতে হবে। গৌতমবাবুর প্রশ্ন, “অন্য ডাকঘরে এই ব্যবস্থা থাকলেও খড়্গপুর ডাকঘরে হচ্ছে না। ডাকঘর আলাদা হলে কি নিয়ম বদলায়?”

Advertisement

এই প্রশ্ন এখন খড়্গপুর ডাকঘরের প্রায় সব গ্রাহকদের। গ্রাহকদের দাবি মতো কাজ করতে না পেরে ডাকঘরের এজেন্টদেরও ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি ডাকঘরের নিয়মে কিছু রদবদল হয়েছে। সেই মতো এক প্রকল্প থেকে অন্য প্রকল্পে সঞ্চয় করা যাবে বললেও একই প্রকল্পের পুনর্নবীকরণ হবে না বলে জানানো হয়। এতেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। একই প্রকল্পে পুনর্নবীকরণ না হলেও অন্য প্রকল্পে সঞ্চয় কী ভাবে সম্ভব, প্রশ্ন সেখানেই। তাই লিখিত নির্দেশ না দিলেও মৌখিকভাবে ডাকঘরের মেদিনীপুর ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট প্রতিটি ডাকঘরের পোস্টমাস্টারকে একই প্রকল্পের পুনর্নবীকরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে সমস্যা বাড়ছে। এক-একটি ডাকঘর ভিন্ন-ভিন্ন নিয়ম পালন করায় গ্রাহকদের ক্ষোভ বাড়ছে। খড়্গপুর আইআইটির ডাকঘরের পোস্টমাস্টার মৌসুমী শতপথি বলেন, “আমরা আমাদের ডাকঘরে মৌখিক নির্দেশের ভিত্তিতেই একই প্রকল্পের পুনর্নবীকরন করছি।” একই বক্তব্য ইন্দা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার সর্বেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

অথচ খড়্গপুরের বোগদা সংলগ্ন ডাকঘরে এই নিয়ম কার্যকর হয়নি। বারবেটিয়ার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক অমিত চক্রবর্তী বলেন, “আমার মায়ের ৮২বছর বয়স। উনি এজেন্টের মাধ্যমে কাজ সারেন। সম্প্রতি একটি মাসিক আয়ের প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ওই প্রকল্পে পুনর্নবীকরণ হবে না বলে জানানো হয়। এই অবস্থায় কী মাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? এখন দেখছি ব্যাঙ্ক ছাড়া গতি নেই।”

Advertisement

খড়্গপুরের এজেন্ট সংগঠনের সম্পাদক সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা বারবার বলেছি। কিন্তু খড়্গপুর ডাকঘরে একই প্রকল্পের পুনর্নবীকরণ হচ্ছে না। এমন চললে আমাদের পেটে টান পড়বে।” এ ব্যাপারে খড়্গপুর ডাকঘরের পোস্টমাস্টার অরুণ নন্দীর বক্তব্য, “আমাদের কাছে কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি।” মেদিনীপুর ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট স্বপন ঘোড়ই অবশ্য বলেন, “ডাকঘরের নিয়মে বিভ্রান্তি থাকায় আমি মৌখিকভাবে সব ডাকঘরকে একই প্রকল্পে পুনর্নবীকরণ করার কথা বলেছিলাম। অধিকাংশ ডাকঘর তা মেনে চলছে। যদি সমস্যা হয় দেখব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন