ষষ্ঠীতে ঢল রেলশহরে

ষষ্ঠীর সকালেই পুজো মণ্ডপে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ইন্দার বাসিন্দা মিঠু মণ্ডল। তিনি বলছিলেন, “সত্যি বলতে এ বার খড়্গপুরে সব পুজোই যেন একে-অপরকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:১৫
Share:

উৎসাহী: মেদিনীপুর ছোটবাজার সর্বজনীনে ষষ্ঠীর ভিড়। নিজস্ব চিত্র

পুজো উদ্বোধন শুরু হয়েছিল চতুর্থী থেকেই। প়ঞ্চমীর সন্ধে থেকেই পথে নামতে শুরু করেন শহরের মানুষ। তবে খড়্গপুরের মণ্ডপে মণ্ডপে পঞ্চমীর ভিড়ের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেল মঙ্গলবার ষষ্ঠীর সন্ধে!

Advertisement

থিম যুদ্ধে টেক্কা দিতে মাসখানেক আগে থেকেই মাঠে নেমেছিল পুজো কমিটিগুলি। কোথাও পটচিত্র, কোথাও আবার জুরাসিক পার্ক, নিত্যনতুন থিমে দর্শক টানতে পিছিয়ে নেই কেউ। আবহাওয়া দফতরের বৃষ্টির পূর্বাভাসে চিন্তায় ছিলেন পূজো উদ্যোক্তারা। কে জানে বৃষ্টিতে এতদিনের পরিশ্রম নষ্ট হবে না তো। কিন্তু ষষ্ঠীর ভিড় হাসি ফোটাল পুজো উদ্যোক্তাদের মুখে।

ষষ্ঠীর সকালেই পুজো মণ্ডপে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ইন্দার বাসিন্দা মিঠু মণ্ডল। তিনি বলছিলেন, “সত্যি বলতে এ বার খড়্গপুরে সব পুজোই যেন একে-অপরকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত। সপ্তমী থেকে ভিড়ে মণ্ডপেই হয়তো ঢোকা যাবে না। তাই পঞ্চমী থেকেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছি।’’ শহরের আদিপূজা কমিটির স্বপ্নের উড়ান, বিবেকানন্দপল্লির পটচিত্র, তালবাগিচার জুরাসিক পার্কের চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ দেখে খুশি তালবাগিচার বাসিন্দা রেলকর্মী রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলছিলেন, “সত্যি বলতে এ বার বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু খড়্গপুরে এত সুন্দর সুন্দর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে, না দেখলে মিস করব। তাই ষষ্ঠীতেই বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে নিচ্ছি।”

Advertisement

শুধু শহর নয়, শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকা থেকেও বহু লোক ভিড় করেছেন রেলশহরের পুজো মণ্ডপ দেখতে। পরিবার নিয়ে খড়্গপুরে পুজো দেখতে এসেছিলেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বপনজিৎ মিত্র। তিনি বলেন, “সপ্তমী থেকে খড়্গপুরে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে সমস্যা হয়। তাই ষষ্ঠীতেই খড়্গপুর ঘুরে নিচ্ছি। পুরাতনবাজারে সিনেমাহলের মধ্যে সমুদ্রগর্ভ দেখে খুব ভাল লাগল। এর পরে অন্য মণ্ডপেও ঘুরে দেখব।”

আদি পুজো কমিটির কর্মকর্তা শান্তনু মাইতি বলেন, “চতুর্থীতেই মণ্ডপ উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। পঞ্চমীর সন্ধ্যা থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবে ষষ্ঠীর সকাল থেকেই ভিড় দেখে মন ভরে গেল।” একইভাবে, পুরাতনবাজার পুজো কমিটির কর্মকর্তা মানস পাল বলছেন, ‘‘দর্শনার্থীদের এই ভিড় আমাদের যাবতীয় পরিশ্রমকে সার্থক করেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন