Dilip Ghosh

জনগণ শো-কজ করবে দিদিকে, বার্তা দিলীপের

হরিদাসপুরে তৃণমূলের বিধায়ক সমরেশ দাসকে দলীয় শোকোজ করার প্রসঙ্গটি ফের তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২০ ০১:০০
Share:

দিলীপ ঘোষ।

নন্দীগ্রামের পর রাধামণিতেও শনিবার বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তবে পুলিশের চোখে কার্যত ধুলো দিয়ে রামতারক থেকে একটি গ্রামীণ সড়ক ধরে বিকেলে হরিদাসপুরের সভায় পৌঁছন তিনি।

Advertisement

হরিদাসপুরে তৃণমূলের বিধায়ক সমরেশ দাসকে দলীয় শোকোজ করার প্রসঙ্গটি ফের তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে তৃণমূলের এক বিধায়কের সঙ্গে একটি মেলার অনুষ্ঠানে আমার দেখা হয়। সৌজন্য বিনিময়ও হয়। এর জন্য তৃণমূল ওই বিধায়ককে শোকজ করেছে। দুটি ভিন্ন দলের জন প্রতিনিধি একসঙ্গে বসবেন না, সৌজন্য বিনিময় করবেন না, এটা কোন রাজনীতি? এ রাজনীতি আমরা চাই না। আমি প্রশ্ন করতে চাই সেদিন দিদিমণি মোদীর সঙ্গে বসেছিলেন। তাঁকে কে শোকজ করবে?’’ এর পরেই সুর চড়িয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘জনগণই দিদিমনিকে শোকজ করে বাইরে বের করে দেবে।’’ উল্লেখ্য, এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস এবং দিলীপকে একটি মেলার অনুষ্ঠানে একমঞ্চে দেখা যায়। সেই ঘটনার পর সমরেশকে শোকজ করে দল। খড়গপুরের নব নির্বাচিত বিধায়ক প্রদীপ সরকার এবং বিজেপি নেতা প্রেমচন্দ ঝাঁ’কেও একসঙ্গে দেখা যাওয়ায় তৃণমূলের অন্দরে শোরগোল শুরু হয়েছিল।

দিলীপের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মতামত জানতে ফোন করা হয়েছিল সমরেশকে। তিনি বলেন, ‘‘এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্ব ভারতীয় নেত্রী। ওঁর সঙ্গে দলের সাধারণ কর্মীর তুলনা হয় না।’’

Advertisement

পাঁশকুড়ার রঘুনাথ বাড়িতেও একটি সভা ছিল দিলীপের। নন্দীগ্রাম থেকে ফেরার পথে সাড়ে ৪টে নাগাদ রঘুনাথবাড়ি সভা মঞ্চের সামনে পৌঁছেছিলেন দিলীপ। মাইকে তাঁর নাম করে স্বাগত জানানো শুরু হয়েছিল। কিন্ত মঞ্চের সামনে থাকা কর্মী সমর্থকদের অবাক করে গাড়ি নিয়ে চলে যান দিলীপ। তিনি সেখান থেকে পুরুষোত্তমপুর বাজার হয়ে হরিদাসপুরে যান। হরিদাসপুর থেকে রোড-শো করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ দিলীপ পৌঁছন রঘুনাথবাড়িতে। যোগ দেন রঘুনাথবাড়ির রথতলায় আয়োজিত সভায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement