মাঝ রাস্তায় শব্দবাজি! কড়া পুলিশ

বাইক-সাইকেল থেকে ছোট গাড়িও চলাচল করে। ঘাটালের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তায় আচমকাই বাজি ফাটার ফলে পথচলতি মানুষ তা টের পান না। ফলে বহু ক্ষেত্রে বাজির আগুন উড়ে পথচারীদের গায়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৫৮
Share:

রাস্তা তো যানবাহন আর পথচারীদের জন্য। সেখানে বাজি ফাটানো হবে কেন? প্রশ্ন ঘাটালের বাসিন্দাদের একাংশের। তাঁদের আর্জি, এ বিষয়ে পদক্ষেপ করুক পুলিশ-প্রশাসন।

Advertisement

বরাবরই ঘাটালে কালীপুজোর রাতে শহরের রাস্তার একাংশে শব্দবাজি ফাটানো হয়। রাস্তা দখল করে চলে আতসবাজি পোড়ানোও। বছর তিন-চারেক আগে থেকেই এই প্রবণতা বেড়েছে। তার জেরে পুজোর রাতে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। শহরের বাসিন্দাদের বক্তব্য, কালীপুজোয় নিয়ম মেনে বাজি ফাটানো হলে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু কোনও ভাবেই রাস্তায় নয়। পুলিশ-প্রশাসন এ ব্যাপারে একটু কড়া হোক।

ঘাটাল শহরের বেশিরভাগ সংযোগকারী রাস্তাই ব্যস্ত। ঘাটাল শহর-সহ পুরসভার গ্রামীণ ওয়ার্ডের সব রাস্তা কমবেশি জনবহুল। গম্ভীরনগর, চাউলি, কৃষ্ণনগর, কুশপাতা, আড়গোড়া, কোন্নগর, পোস্ট অফিসচক, গোবিন্দপুর-সহ একাধিক রাস্তায় সকাল থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত সাধারণ মানুষের যাতায়াত থাকে।

Advertisement

বাইক-সাইকেল থেকে ছোট গাড়িও চলাচল করে। ঘাটালের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তায় আচমকাই বাজি ফাটার ফলে পথচলতি মানুষ তা টের পান না। ফলে বহু ক্ষেত্রে বাজির আগুন উড়ে পথচারীদের গায়ে পড়ে। হতচকিত হয়ে পড়েন তাঁরা। এর ফলে অনেক সময় চালক অথবা বাইক আরোহীরা গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। বাইক থেকে পড়ে যান আরোহীরা। এমনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা এড়াতেই শহরের সংযোগকারী রাস্তাগুলিতে পুজোর রাতে শব্দবাজি যাতে না ফাটানো হয়, সেই দাবিতে সরব হয়েছেন ভুক্তভোগীরা। শুধু শব্দবাজিই নয়। আতসবাজি পোড়ানোর ফলে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।

ভুক্তভোগীদের একাংশের কথায়, “অনেকে মদ্যপ অবস্থাতেও বাজি ফাটায়। তাই প্রতিবাদ করলেই পুজোর রাতে গালিগালাজ শুনতে হয়। অনেক সময় মারধরের চেষ্টাও চলে। তাই পুলিশই ভরসা।” ঘাটাল শহরের কুশপাতার এক শিক্ষকের অভিজ্ঞতা, “গত বছর মাকে নিয়ে টোটোয় চেপে পুজো দেখতে বেরিয়েছিলাম। কুশপাতার ভিতরের এক রাস্তার উপরেই শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছিল। আগুনের ফুলকি মায়ের শাড়িতে এসে পড়ছিল। ঘণ্টাখানেক ধরে আটকে থাকি। আমাদের দেখেও বাজি ফাটানো বন্ধ হয়নি।” ঘাটালের এসডিপিও কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। কোনওভাবেই রাস্তায় বাজি ফাটানো বরদাস্ত করা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন