চন্দন গাছ চুরির তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ কুকুর

চার দিন পরেও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে চুরি যাওয়া চন্দন গাছ উদ্ধার হল না। পুলিশের এক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু স্পষ্ট কিছু পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত হয়। কুকুর ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব দিকের জঙ্গলের দিকে এগোতে শুরু করে। কিন্তু বৃষ্টি নামায় তদন্ত ব্যাহত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৫ ০০:২৩
Share:

চার দিন পরেও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে চুরি যাওয়া চন্দন গাছ উদ্ধার হল না।

Advertisement

পুলিশের এক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু স্পষ্ট কিছু পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত হয়। কুকুর ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব দিকের জঙ্গলের দিকে এগোতে শুরু করে। কিন্তু বৃষ্টি নামায় তদন্ত ব্যাহত হয়। শুক্রবার নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশ্য তেমন সূত্র মেলেনি। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তথা ছাত্র-কল্যাণ বিভাগের প্রধান জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। আশা করি চুরির কিনারা হবে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের পাশেই ছিল মূল্যবান শ্বেত চন্দন গাছ। গত মঙ্গলবার রাতে কে বা কারা গাছটি কেটে নেয়। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ গাছটি লাগিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ জানালে বুধবার ক্যাম্পাসে এসে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। ক্যাম্পাসে সব সময় নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্ন ওঠে। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জোরালো হয়।

Advertisement

ডিএসও-র বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি রাকিবুল হাসান শনিবার বলেন, ‘‘চারদিন হয়ে গেল। অথচ, এখনও চুরির কিনারা হল না।’’ ঘটনায় যুক্ত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে আরও উদ্যোগী হতে হবে, এই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনও দিয়েছে ডিএসও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ কুকুরও আনা হয়েছে। আশা করি, চুরি যাওয়া গাছও উদ্ধার হবে। দুষ্কৃতীরাও ধরা পড়বে।’’ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বৈঠক হয়। যে বৈঠকে নিরাপত্তারক্ষীদের এজেন্সি কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন। এখানে ক্যাম্পাসে নজরদারি আরও জোরদার করা নিয়েই আলোচনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন