ফাইল চিত্র।
থানায় শব্দবাজি বিস্ফোরণে দুই পুলিশকর্মী জখম হওয়ার ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল পুলিশ।
রবিবার রাতের ওই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে আসছে। উঠছে অনিয়মের অভিযোগও। প্রথমত, বেআইনি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করে সাধারণত তা থানার মালখানায় রাখা হয় না। দ্বিতীয়ত, বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি সেগুলি নিষ্ক্রিয় করতে হয়। নিতে হয় আদালতের অনুমতিও। কিছু ক্ষেত্রে থানা খবর দেয় সিআইডির বম্ব ডিসপোসাল স্কোয়াডকে। রবিবার রাতে দাঁতন থানায় সে নিয়ম মানা হয়েছিল কি না, না হলে কেন হয়নি, তা সবই পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাঁর নির্দেশে শুরু হয়েছে তদন্ত। খড়্গপুরের এসডিপিও রাহুল দে বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরেই ওই শব্দবাজি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া উচিত ছিল। এই নিয়ে আমাদের বিভাগীয় তদন্ত চলছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলেও ওই শব্দবাজি কোন অফিসার বাজেয়াপ্ত করেছিলেন সেই খোঁজ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে কার নির্দেশে ওই শব্দবাজি নিষ্ক্রিয় করতে পুড়িয়ে দিতে গিয়েছিলেন ওই দুই পুলিশকর্মী সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সময় আইসি কোয়ার্টারে ছিলেন। থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের কথায় মালখানায় মজুত থাকা দু’ব্যাগ ভর্তি নিষিদ্ধ শব্দবাজি থানা সংলগ্ন পুকুর পাড়ে গিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছিলেন এনভিএফ দিব্যেন্দু আচার্য ও আশিস দাস। তখনই ঘটে বিস্ফোরণ। প্রাথমিকভাবে তাঁদের দাঁতন ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রবিবার রাতেই তাঁদের কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাতে আইসিইউতে থাকার পরে সোমবার সকালে ওয়ার্ডে সাধারণ শয্যায় রাখা হয়েছে ওই দুই পুলিশকর্মীকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অবস্থার উন্নতি হয়েছে তাঁদের।