মাদক বিরোধী মিছিল। (ইনসেটে) সচেতনতায় পুলিশের অনুষ্ঠান। মেদিনীপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
দুই চিত্র। মাদক বিরোধী দিবসের মঞ্চে যখন জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের প্রশংসা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব, তখন খড়্গপুর শহরে মাদক সেবনের প্রবণতা বাড়া নিয়ে পুলিশকে বিঁধলেন বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ।
রবিবার ছিল মাদক বিরোধী দিবস। সেই উপলক্ষে এ দিন জেলা পুলিশের উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড়ে এক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু দাবি করেন, জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে মাঝেমধ্যেই সামাজিক কর্মসূচি হয়। জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহের মতে, ‘‘পুলিশের এই উদ্যোগ খুব প্রশংসনীয়।’’
যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশংসায় বিরোধীরা অবাক হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না। সিপিএমের এক নেতার কথায়, “যে মঞ্চ পুলিশের উদ্যোগে হয়েছে। যে মঞ্চে পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ নিজে আছেন, সেখানে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা কিছু বলার সুযোগ পেয়ে পুলিশ সুপারের প্রশংসা করবেন না তা কী করে হয়!’’
নেশামুক্ত সমাজ গড়তে খড়্গপুরেও পুলিশের উদ্যোগে এক পদযাত্রা হয়। যদিও এ দিনই রেলশহরে মাদকের রমরমা বাড়ার প্রসঙ্গে পুলিশের সমালোচনা করে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এই শহরে পুলিশ-মাফিয়া যোগসাজশ রয়েছে। মাদক কারবারিরা পুলিশকে টাকা দিচ্ছে। আবার সেই পুলিশ টাকা খরচ করে মাদক বিরোধী দিবস পালন করছে। এটা হাস্যকর।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশ মাদক কারবারিদের কতটা রুখতে পারবে সংশয় রয়েছে।”
এ দিন শহরের ঝাপেটাপুরে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন দিলীপবাবু। এতদিন শহরে বিধায়কের নিজস্ব কোনও কার্যালয় ছিল না। এখন থেকে ঝাপেটাপুরের কার্যালয়েই দিলীপবাবু বসবেন বলে জানা গিয়েছে। গত বুধবার আইআইটি-তে গোলমালের জেরে দলের শ্রমিক সংগঠনের কয়েকজন জখম হন। এ দিন রেল হাসপাতালে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপবাবু। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘খড়্গপুর আইআইটিতে একটা সিন্ডিকেট চলছে। তৃণমূল সারা বাংলা জুড়ে সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। আইআইটিতে কেন্দ্রীয় সরকার শত শত কোটি টাকা খরচ করে। সেখানে ওরা লুঠপাট চালাচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আক্রমণ করা হয়েছে।”
মেদিনীপুরে জেলা বিজেপির বর্ধিত সভাতেও যোগ দেন দিলীপবাবু। তৃণমূলকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘নিজের অযোগ্যতাকে এ ভাবে চাপা দেওয়া যায় না। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। প্রশাসনিক কৌশলের অভাব আছে। যে রাজ্যগুলো সফল হয়েছে, ইগো না রেখে তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার।”