Illegal Sand Mining

Maoist: মাও-পোস্টারে কি বালি যোগ! জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

গনগনিতে মাওবাদীদের নাম দিয়ে পোস্টার পড়ার তদন্তে পুলিশ অবৈধ বালি কারবারের যোগ থাকার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গড়বেতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারের পিছনে তবে কি রয়েছে বালির কারবার!

Advertisement

গনগনিতে মাওবাদীদের নাম দিয়ে পোস্টার পড়ার তদন্তে পুলিশ অবৈধ বালি কারবারের যোগ থাকার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে। শিলাবতী নদী তীরবর্তী গনগনিতে বৃহষ্পতিবার ‘সিপিআই-মাওবাদী’ লেখা দুটি হাতে লেখা পোস্টার উদ্ধারের পরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সেই সূত্রেই অবৈধ বালি কারবারের দিকটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কয়েকজন বালি কারবারিকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

গড়বেতায় বালির অবৈধ কারবার নতুন নয়। বালি খাদানের দখলদারি নিয়ে সংঘর্ষও বহুবার হয়েছে। বালির বখরা নিয়ে হামেশাই বিবাদ হয়। বালির কারবারে নাম জড়ায় তৃণমূলেরও। তা নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ আছে। কয়েকমাস আগে অবৈধ বালি কারবারে রাশ টানে রাজ্য সরকার। গড়বেতাতেও কড়াকড়ি করে জেলা প্রশাসন। অনেকগুলি অবৈধ বালি খাদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৈধ খাদানেও নিয়মিত অভিযান চালাতে থাকে পুলিশ ও বিএলআরও দফতর। তবুও বালির অবৈধ কারবার বন্ধ হয়নি। নজরদারি এড়িয়েই চলছে কারবার।

Advertisement

বালির দখলদারি নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে কারবারিদের মধ্যে। গনগনিতে যেখানে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার পড়েছে, তার অদূরেই শিলাবতীর একাধিক বালি খাদান। গড়বেতার আশেপাশের এলাকাতেও বালি খাদান রয়েছে। ফলে, পোস্টার পড়ার ঘটনায় অবৈধ বালি কারবারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি। বালির দিকটিও দেখা হচ্ছে।’’ জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে পোস্টার কাণ্ডে প্রায় ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। যারমধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন বালি কারবারিও।
কিছুদিন আগে শালবনিতে ভুয়ো ল্যান্ডমাইনের আতঙ্ক ছড়িয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন প্যাকেজে চাকরির জন্য ধৃতেরা এই কাজ করে বলে পুলিশ জানিয়েছিল। ঝাড়গ্রামেও একই দাবি জানিয়ে ভুয়ো আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। গড়বেতা থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত পুনর্বাসন প্যাকেজের সুবিধা পেতে কোনও মহলেই কেউ দরবার করেনি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

তাছাড়া, পোস্টারে যে দুটি দাবি করা হয়েছে, তার কোনওটিরই প্রাসঙ্গিকতা দেখছে না প্রশাসন। কারণ, গড়বেতায় ভূমিহীন আদিবাসীদের বনভূমির পাট্টা দেওয়ার কাজ অনেকটাই হয়েছে। বাকি কাজ চলছে। আর সাম্প্রতিককালে কাউকে চাকরি দেওয়াও হয়নি এখানে। এই অবস্থায় মাওবাদীদের নাম দিয়ে পোস্টার দেওয়ার পিছনে কী অভিসন্ধি কাজ করছে তা খুঁজতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে জেলা পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন