বেপরোয়া: হেলমেটহীন আরোহী।
‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’-এর প্রচারও কাজে দিচ্ছে না। বেপরোয়া মোটর বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ।
বেপরোয়া বাইক চালালে এবার আরোহীর ড্রাইভিং লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে দেওয়া হবে। মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট-এর ১৯ ধারা অনুযায়ী পুলিশ সুপার শুনানি করে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করতে পারেন। সেই আইনেই এ বার কড়া পদক্ষেপের পক্ষপাতী জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই আইন প্রয়োগ করে মদ্যপ অবস্থায় এবং বেপরোয়া বাইক চালানোর অভিযোগে চার জনের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কুল-কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও এই বিষয় প্রচারে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পুলিশ।
পুলিশের পরিসংখ্যানই বলছে, গত এক বছরে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলায় ১৪৩ টি ছোটবড় সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটেছে জাতীয় সড়কে। সম্প্রতি যে চারজনের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই জাতীয় সড়কে বেপরোয়া বাইক চালানোয় অভিযুক্ত।
পুলিশের দাবি, বাইক আরোহীদের অনেকেই নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবেন না। হেলমেট ব্যবহার করেন না। অত্যন্ত বেপরোয়া গতিতে জাতীয় সড়কে এবং শহরের জনবহুল এলাকায় বাইক ছোটান। বেপরোয়া বাইক চালানোর অভিযোগে ধরপাকড় করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হলেও তাতে বেপরোয়া বাইকে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। তাই আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে।
পুলিশের বক্তব্য, শহরাঞ্চলে আরও একটি বড় সমস্যা হল বিনা লাইসেন্সে বাইক চালানো। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে নাবালকরাই বাইক চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ধরা পড়লে বাইক বাজেয়াপ্ত করবে পুলিশ। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “বেপরোয়া বাইক সামলাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চার জনের ড্রাইভিং লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। বিনা হেলমেটে বাইক চালক ও আরোহীদেরও বিরুদ্ধেও এবার কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’