ছোট- বড় গর্তে ভরে গিয়েছে রাস্তা। বর্ষার রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়েছে। ভাদুতলা- কর্ণগড় রাস্তার হাল এখন এমনই। মা মহামায়ার মন্দিরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তা সংস্কারের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কর্ণগড় মহামায়া সেবা সমিতি।
সংস্কার মাঝেমধ্যে হয়। বছর ঘুরতে না- ঘুরতে ফের রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। চিঠিতে রাস্তাটির প্রশস্তিকরণ ও সংস্কারের আর্জিই জানানো হয়েছে। চিঠিতে এলাকার মানুষও স্বাক্ষর করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি একই আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহের কাছেও।
চিঠি পেয়ে রাস্তার হাল ফেরানো নিয়ে পরিকল্পনা করছে জেলা প্রশাসনও। জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “ওই রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেখছি কী করা যায়।” জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা শীঘ্রই এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন। তারপরই রাস্তার হাল ফেরানো নিয়ে চূড়ান্ত পরিকল্পনা হতে পারে।
রানি শিরোমণির স্মৃতি বিজড়িত কর্ণগড়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন। ভাদুতলা থেকে কর্ণগড়ের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রায় ৯- ১০টি গ্রামে সমস্ত মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৯৯৯ সালে পূর্ত বিভাগের উদ্যোগে রাস্তাটি পাকা হয়। সংস্কারের অভাবে ওই রাস্তার একাংশ যানবাহন চলাচলের অযোগ্য। মহামায়া সেবা সমিতির পক্ষে স্বরূপ পাঁজা, গোপাল মিদ্যা প্রমুখের মতে, “মন্দিরে প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন। ফলে, গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। রাস্তার হাল না- ফিরলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।”