সজ্জন জিন্দলের লগ্নি-বার্তা

আগাম দীপাবলি শালবনিতে

মঙ্গলবার কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জিন্দলদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে লগ্নির আশ্বাস দিয়েছেন জিন্দলরা। কর্মসংস্থানের আশ্বাসের কথাও শুনিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৩২
Share:

জিন্দল কারখানার সামনেই বাজি পুড়িয়ে উৎসব। নিজস্ব চিত্র।

মঙ্গলবার কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জিন্দলদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে লগ্নির আশ্বাস দিয়েছেন জিন্দলরা। কর্মসংস্থানের আশ্বাসের কথাও শুনিয়েছেন।

Advertisement

সেই খুশিতে এ দিন আগাম দীপাবলি হল শালবনিতে। সন্ধের মুখে জিন্দলদের প্রকল্প এলাকার সামনে এ দিন পটকা ফাটান জমিদাতাদের একাংশ, রংমশাল জ্বালানো হয়। জমিদাতা সংগঠনের নেতা পরিষ্কার মাহাতো বলেন, “বৈঠক সদর্থক হয়েছে বলেই জেনেছি। প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোনোর আশ্বাস দিয়েছেন জিন্দলরা। বাড়তি লগ্নির, কর্মসংস্থানের আশ্বাসও দিয়েছেন। এতে এলাকার মানুষ খুশি। সেই খুশিতেই এই উৎসব।”

শালবনিতে ৪,৩৩৪ একর জমি নিয়েছিল জিন্দল গোষ্ঠী। এর মধ্যে ৩,০৩৫ একর খাস জমি। ৭৯৯ একর জমি প্রাণিসম্পদ বিভাগের। ১৮৯ একর জমি পাট্টা প্রাপকদের থেকে ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে ফিরিয়ে নিয়েছিল রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। বাকি ২৯৪ একর জমি রায়তি। জমিদাতাদের থেকে সরাসরি কিনে নিয়েছিল জিন্দলরা। শুরুতে ঠিক ছিল এখানে ইস্পাত কারখানা হবে। পরে অবশ্য তা স্থগিত রাখা হয়। সিমেন্ট শিল্পের হাত ধরে ব্যবসা শুরুর উদ্যোগ নেন জিন্দলরা। এখন শালবনিতে ৮০০ কোটি টাকা লগ্নি করে সিমেন্ট কারখানা করা হচ্ছে। সিমেন্ট কারখানার পরে বিদ্যুত্‌ উত্‌পাদন কেন্দ্র এবং রং কারখানা গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে। কারখানা থেকে বছরে ২৪ লক্ষ টন সিমেন্ট উত্‌পাদন হওয়ার কথা। কারখানা চালু হলে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ২৫০ জনের। পরোক্ষ ৬০০ জনের। কারখানা পুরোদমে চালু হওয়ার পরে উত্‌পাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার কাজও শুরু হওয়ার কথা। ২০১৭ সালে সিমেন্ট উত্‌পাদন শুরু হবে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি শালবনিতে এসে প্রস্তাবিত সিমেন্ট কারখানার শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন কাজ এগোচ্ছে। জমিদাতা সংগঠনের নেতা পরিষ্কার মাহাতো বলেন, “আমরা চাই, জমিদাতা সব পরিবারের একজনকে কারখানায় কাজ দেওয়া হোক। শুরু থেকে এই দাবি জানিয়ে আসছি। আশা করি, জিন্দলরা দাবিপূরণ করবেন।” তাঁর কথায়, “আগে ইস্পাত হওয়ার কথা ছিল। এখন সিমেন্ট হচ্ছে। আপাতত, সিমেন্ট কারখানাটাই চালু হোক। শালবনির মানুষ এখানে একটা কারখানা চাইছেন। শালবনির ভাল দিন এলে শিল্পেরও ভাল দিন আসবে।” তিনি বলেন, “শালবনির মানুষ শিল্পের আশা জমি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবারের বৈঠক সদর্থক হয়েছে বলেই জেনেছি। মনে হচ্ছে, এ বার সময়ের মধ্যেই কারখানা চালু হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন