কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ

হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মাটি খুঁড়ে এক সদ্যোজাতর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠাল প্রশাসন। শনিবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের তালবাগিচা এলাকার ঘটনা। ওই সদ্যোজাতর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহটি কবর থেকে তুলে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৫ ০২:৪৮
Share:

হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মাটি খুঁড়ে এক সদ্যোজাতর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠাল প্রশাসন। শনিবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের তালবাগিচা এলাকার ঘটনা। ওই সদ্যোজাতর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহটি কবর থেকে তুলে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার দুপুরে তালবাগিচার রুনা চক্রবর্তী খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে শিশু কন্যার জন্ম দেন। কিন্তু জন্ম থেকে শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই সদ্যোজাত। কিছু পরে চিকিৎসকরা এসে জানান মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে শিশুটির পরিবার। তাঁদের অভিযোগ ছিল, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির যত্ন নেননি। অধিকাংশ সময়েই নার্সরা শিশুটির ঠিকমতো ওষুধ দেননি। এমনকী ঠিক সময়ে চিকিৎসকেরও খোঁজ মেলেনি।” বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ না জানানোয় তালবাগিচার একটি শ্মশানে ওই শিশুটিকে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার ওই সদ্যোজাতর বাবা এ বিষয়ে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ পাঠিয়ে দেন প্রশাসন ও পুলিশের কাছে। এর পরই তালবাগিচার শ্মশান থেকে শিশুটির দেহ তুলে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়।

ওই সদ্যোজাতর বাবা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “ও ছিল আমাদের প্রথম সন্তান। শুধুমাত্র চিকিৎসক ও নার্সদের গাফিলতিতে আমাদের এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল।” হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খাবার আটকে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। তবে ময়না-তদন্ত না হলে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।” মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “খবর পাওয়ার পরেই নিয়ম মেনে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠিয়েছি। শিশুটির কবর থেকে তুলে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন