বিদ্যুৎ পরিষেবায় এ বার কন্ট্রোল রুম

এই বিদ্যুৎ আছে তো পরক্ষণেই নেই। লোডশডিংয়ের বহর দেখে উদ্বিগ্ন পুজো উদ্যোক্তারা। চিন্তার ভাঁজ কচিকাঁচাদের কপালেও। লোডশেডিংয়ের জেরে যদি পুজোর আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৪
Share:

এই বিদ্যুৎ আছে তো পরক্ষণেই নেই। লোডশডিংয়ের বহর দেখে উদ্বিগ্ন পুজো উদ্যোক্তারা। চিন্তার ভাঁজ কচিকাঁচাদের কপালেও। লোডশেডিংয়ের জেরে যদি পুজোর আনন্দটাই মাটি হয়ে যায়। শুধু লোডশেডিং নয়, যে ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের সঙ্গে গাছের ডাল জড়িয়ে রয়েছে, তাতে ঝড়-বৃষ্টিতে বিপদের আশঙ্কাও রয়েছে। পুজোর সময় অবশ্য বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছে বিদ্যুৎ দফতর।

Advertisement

কী সেই পরিকল্পনা? প্রতিটি বিদ্যুতের সাব স্টেশন এলাকায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। একইসঙ্গে দফতরের প্রতিটি ডিভিশন ও জেলাতেও খোলা হবে কন্ট্রোল রুম। যেখানে ২৪ ঘণ্টা দফতরের কর্মীরা থাকবেন। বর্তমানে কেবলমাত্র শহরাঞ্চলে রাত্রিকালীন বিশেষ পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পুজোর সময় জেলার সর্বত্রই দিনরাত বিশেষ পরিষেবার ব্যবস্থা থাকবে।

বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে যে কেউ কন্ট্রোল রুমে জানাতে পারেন। সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌঁছে যাবে বিশেষ দল। এ জন্য চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত কর্মীও রাখা হবে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর কথায়, “পুজোর মরসুমে যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত না হয় সে জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সাব স্টেশনগুলিকে যেমন আগে থেকেই ত্রুটিমুক্ত করার কাজ চলছে, তেমনই বিদ্যুতের তারের উপর থাকা গাছও কাটা হচ্ছে। এ ছাড়াও একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়ন নিয়ে একটি বৈঠক হয়। জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ সম্পর্কিত স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, “উৎসবের মরসুমে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হলে আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে। তাই সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে দফতরের সব কর্মীদের সব ধরনের পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তারপরেও যদি দেখা যায়, কোনও কর্মী বা আধিকারিকের উদাসীনতার কারণে পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে, তবে কাউকেই রেয়াত করা হবে না।”

বিদ্যুৎ দফতরের অবশ্য দাবি, জেলায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকাঠামো রয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। রিজিওনাল ম্যানেজারের কথায়, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে চিন্তা রয়েছে। যদি পুজোর আগে সে রকম আভাস পাওয়া যায়, তবে আমরাও সেই ভাবে তৈরি হব।” প্রশাসনিক অনুমোদন মেলার পর নিয়ম মেনে প্রতিটি প্যাণ্ডেলে বিদ্যুতের অস্থায়ী সংযোগ দেওয়ার জন্যও সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে।

সাহায্য। মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন হোম কর্তৃপক্ষের হাতে আবাসিকদের জন্য একগুচ্ছ সরঞ্জাম তুলে দিল জেলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার হোমে এক অনুষ্ঠানে ২০০টি নতুন তোষক, ২০০টি বিছানার চাদর, ২০০টি বালিশের পাশাপাশি ২০০টি করে থালা, বাটি ও গ্লাস তুলে
দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন