Mamata Banerjee

আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, তোড়জোড় শুরু

প্রশাসনের অন্দরেও তৎপরতা তুঙ্গে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন জেলাশাসক হিসেবে বৃহস্পতিবারই দায়িত্ব নিয়েছেন খুরশিদ আলি কাদেরি। তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন পূর্বতন জেলাশাসক আয়েষা রানি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৭
Share:

মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে সভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। শুক্রবার মাঠ পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক, পুরপ্রধান ও পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। নিজস্ব চিত্র

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সভা করবেন মেদিনীপুরে কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মেদিনীপুর সফর নিয়ে প্রশাসনিক প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রস্তাবিত সভাস্থল পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) কুহুক ভূষণ প্রমুখ। মাঠ ঘুরে দেখেন তিনি। ছিলেন পূর্ত, পুরসভার আধিকারিকেরাও।

Advertisement

প্রশাসনের অন্দরেও তৎপরতা তুঙ্গে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন জেলাশাসক হিসেবে বৃহস্পতিবারই দায়িত্ব নিয়েছেন খুরশিদ আলি কাদেরি। তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন পূর্বতন জেলাশাসক আয়েষা রানি। জানা যাচ্ছে, জেলাশাসকের দায়িত্ব বুঝে নিয়েই ওই দিন সন্ধ্যায় এক বৈঠক করেছেন খুরশিদ। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত মেদিনীপুর সফরের প্রস্তুতি নিয়ে ওই বৈঠকে ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বৈঠকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ এবং পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক। সেই মতো প্রস্তুতি সারা হচ্ছে। শুক্রবারও একাধিক বৈঠক করেন জেলাশাসক। প্রথমে বিভিন্ন দফতরের জেলা আধিকারিকদের নিয়ে এক বৈঠক হয়। পরে বিডিওদের নিয়েও বৈঠক হয়েছে।

শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার কথা। বাজেটের পরের দিনই মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করতে পারেন। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ১৬ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভা থেকে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করবেন।’’ তবে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কবে মেদিনীপুরে পৌঁছবেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি পাশের জেলা বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারেন হেলিকপ্টারে। ফলে, একাধিক সম্ভাবনা থাকছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মেদিনীপুরে পৌঁছতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। থাকতে পারেন সার্কিট হাউসে। ১৬ ফেব্রুয়ারি সভা শেষে তিনি বাঁকুড়া রওনা দিতে পারেন। আবার ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে পৌঁছে, সভা করে মেদিনীপুরে রাতে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি বাঁকুড়া যেতে পারেন।

Advertisement

গত বছর মে মাসে মেদিনীপুরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি দলীয় জনসভাও করেছিলেন। পরে সেপ্টেম্বরে খড়্গপুরে এসেছিলেন তিনি। সে বার মুখ্যমন্ত্রী শিল্পতালুকে এক সভা থেকে বেশ কয়েকজনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন। এ বার তাঁর আসার কথা প্রশাসনিক সভায়। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর এ বারের সফর তাৎপর্যপূর্ণ। শুক্রবার সভাস্থল পরিদর্শনে ছিলেন পুরসভার আধিকারিকেরাও। ছিলেন পুরপ্রধান সৌমেন খান প্রমুখ। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরে আসছেন। প্রশাসন, পুলিশ থেকে পুরসভা— সবাই মিলে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শহরের একাধিক রাস্তা মেরামত হবে। একাধিক ভ্যাটের আবর্জনা সাফাই হবে। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘শহরকে সুন্দর রাখতে যা প্রয়োজনীয়, তা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন