তৃণমূলের ‘লঙ্কা’ জ্বালানোর হুমকি পুনমের

তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপির বানর সেনার গায়ে হাত তুললে বা লেজে আগুন দিলে তৃণমূলের লঙ্কা জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় কর্মী সম্মেলনে এসে রাজ্যের শাসকদলকে এ ভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী পুনম মহাজন।

Advertisement

দেবমাল্য বাগচী

ডেবরা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২১
Share:

কাছে: কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি-র যুব নেত্রী পুনম। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপির বানর সেনার গায়ে হাত তুললে বা লেজে আগুন দিলে তৃণমূলের লঙ্কা জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় কর্মী সম্মেলনে এসে রাজ্যের শাসকদলকে এ ভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী পুনম মহাজন। ডেবরা অডিটোরিয়ামের সভামঞ্চে হনমুমান জয়ন্তীর কথা মনে করিয়ে পুনম বলেন, “তৃণমূলের গুন্ডাদের সাবধান করছি। এখানে বিজেপির অনেকে বানর সেনা বসে রয়েছে। যদি এদের কারও গায়ে হাত ওঠে বা লেজে আগুন লাগাও তবে তৃণমূলের লঙ্কা জ্বালিয়ে দেব।”

Advertisement

উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে সম্প্রতি বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ মডেলেই এ বার পশ্চিমবঙ্গে বুথে-বুথে সংগঠন সাজাতে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। সেই মতো আপাতত জেলার প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কর্মী সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিন সেই মতো ঘাটাল লোকসভার কর্মী সম্মেলন হয় ডেবরায়। আগে পিংলায় এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে অডিটোরিয়াম না পাওয়ায় জায়গা বদল করতে হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ পুনম এ দিন বলছিলেন, “অনেক চেষ্টা হয়েছিল এই কর্মসূচি ভেস্তে দেওয়ার। শুনলাম তৃণমূলের গুন্ডারা মঞ্চ ভাঙার চেষ্টা করেছিল। পরে সরকারি আধিকারিকেরাও অনুমতি দেননি। আমি বলেছিলাম তৃণমূল মঞ্চ ভাঙতে পারবে। কিন্তু বিজেপির সাহস-মনোবল ভাঙতে পারবে না।”

আরও পড়ুন :রাতে লাভ নেই, তাই বন্ধ ওষুধ দোকান

Advertisement

এ দিনের বক্তব্যে আগাগোড়া তৃণমূলকে বিঁধেছেন পুনম। তৃণমূলকে সিপিএমের নতুন সংস্করণ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছেন, “এই রাজ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্র বসুর ভূমি। অথচ এই ভূমিতে এখন ন্যায় মেলে না, সংস্কৃতি নেই, ভাল গান চলে না। শুধু বোমা চলে।” তৃণমূল গুন্ডাগিরির পাশাপাশি এ রাজ্যের কর্মহীনতা নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। নাম না করে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এ দিন বিঁধেছেন পুনম। তিনি বলেন, “ভাইপো সাংসদ হোক, ছ’য় ভাই কালীঘাটে দাদাগিরি করুক এ সব মানুষ চায়না। মানুষ উন্নয়ন চায়। সোনার বাংলা চায়।” তাই সোনার বাংলা গড়তে বুথে-বুথে ভয় না পেয়ে কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পদ্মফুল ফোটানোর নির্দেশ দেন তিনি। ফেরার পথে অডিটোরিয়াম থেকে এক কিলোমিটার দূরে ডেবরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালকুঠি বুথে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করন পুনম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন