Finger Print Verification

বিয়ের জন্য আঙুলের ছাপ দিতে কলকাতায় তলব, ক্ষোভ

গত ১ নভেম্বর নতুন নির্দেশিকা জারি করে 'রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস'-এর দফতর। বিয়ে নথিভুক্ত করতে গেলে পাত্র-পাত্রীর আঙুলের ছাপ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Advertisement

কেশর মান্না

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

অনলাইনে রেজিস্ট্রি বিয়ে চালু হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই পদ্ধতিতে নবতম সংযোজন হল, পাত্র এবং পাত্রীর বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ। তা নিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে অনেককেই। যাঁদের আঙুলের ছাপ মিলছে না তাঁদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রি আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে জেলা থেকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। আচমকা কলকাতা যাওয়ার ডাক পেয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন।

Advertisement

গত ১ নভেম্বর নতুন নির্দেশিকা জারি করে 'রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস'-এর দফতর। বিয়ে নথিভুক্ত করতে গেলে পাত্র-পাত্রীর আঙুলের ছাপ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পরেও রেজিস্ট্রির দিন দেখা যাচ্ছে যে, আঙুলের ছাপ মিলছে না। ফলে ওই দিন রেজিস্ট্রি বিয়ে নাকচ হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যজুড়ে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর রাজ্যের ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস’ বিভিন্ন জেলার ৩১ জন ম্যারেজ রেজিস্ট্রি আধিকারিককে নোটিস পাঠিয়েছেন। বলা হয়েছে, আঙুলের ছাপ মেলেনি এ রকম পাত্র-পাত্রীকে ২১ ডিসেম্বর কলকাতায় আরজিএম (রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস) অফিসে নির্দিষ্ট দিনে এসে আঙুলের ছাপ দিয়ে যেতে হবে। ওই তালিকায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ জেলার অনেকে রয়েছেন।

Advertisement

অন্য দিকে পুরুলিয়া, পূর্ব - পশ্চিম বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া জেলার লোকেদের ১৮-২০ ডিসেম্বর ডাকা হয়েছে। এ বিষয়ে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস’ দীপ্তার্ক বসু জানিয়েছেন,"বিবাহ আইনে উল্লেখ রয়েছে, বাম আঙুলের ছাপ বাধ্যতামূলক। যেহেতু ৩০ জন অফিসারের কাছে কোনওভাবেই পাত্র-পাত্রীরা বাম আঙুলের ছাপ দিতে পারছিলেন না, তাই নির্দিষ্ট ভাবে শুধু তাঁদেরকেই কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। সরকারি আধিকারিকের সামনে তাঁরা অন্য আঙুলের ছাপ দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পূর্ণ করতে পারেন। যদি তাঁদের অসুবিধে থাকে সে কথা আমাদের জানালে ভিডিও কনফারেন্স হতে পারে। বা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী মাসের শিবির আয়োজন করে তা সমাধান করা যেতে পারে।’’ এর বিকল্প পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশনের দাবি তুলেছে ম্যারেজ অফিসারদের সংগঠন। তারা গত সপ্তাহে রাজ্যের আইন দফতরের যুগ্ম সচিব সহ বিভাগীয় আধিকারিকদের কাছে চিঠি দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন