কুয়োর নোংরা জলই ভরসা

অচল সজলধারা প্রকল্পের জলের কল। পানের জন্য কুয়োর নোংরা জলই ভরসা শালবনির মধুপুরের বাসিন্দাদের।শুধু মধুপুর নয়, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে আশপাশের প্রত্যন্ত নতুনডিহি, জামিরগোট, মেমুল, ধচাটি এলাকাতেও। আগামী দিনে এই সঙ্কট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শালবনি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০১:২১
Share:

নির্জলা: শালবনির মধুপুরে অকেজো নলকূপ। নিজস্ব চিত্র

অচল সজলধারা প্রকল্পের জলের কল। পানের জন্য কুয়োর নোংরা জলই ভরসা শালবনির মধুপুরের বাসিন্দাদের।

Advertisement

শুধু মধুপুর নয়, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে আশপাশের প্রত্যন্ত নতুনডিহি, জামিরগোট, মেমুল, ধচাটি এলাকাতেও। আগামী দিনে এই সঙ্কট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। এলাকাগুলিতে একাধিক নলকূপ অকেজো। জলস্তর নেমে যাওয়ায় অনেক নলকূপে জল ওঠে না।

জঙ্গলঘেরা মধুপুর প্রাথমিক স্কুলের পাশে রয়েছে সজলধারা প্রকল্পের ট্যাপকল। এই ট্যাপকল দীর্ঘদিন ধরে অচল! এলাকাবাসীর ভরসা এখন কুয়োর জল। সেই কুয়োর জলও নোংরা বলে অভিযোগ। মধুপুরের বাসিন্দা বন্দনা দেবসিংহ, দীপালি পাতররা বলছিলেন, “কবে থেকে সজলধারা প্রকল্পের কল খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এখনও সারানোর কোনও ব্যবস্থা হল না। কবে হবে কে জানে! কুয়োর নোংরা জলই এখন ভরসা!” পাশের জামিরগোটে গভীর নলকূপ রয়েছে। কেউ কেউ সেখান থেকেই জল বয়ে আনেন। স্থানীয় প্রতিমা দেবসিংহের কথায়, “এখনও সেই ভাবে গরম পড়েনি। তাতেই জলের এই সমস্যা। গরম পড়লে এ বার জলের হাহাকার দেখা দেবে এলাকায়!” রিক্তা দেবসিংহ, সন্দীপ দেবসিংহের মতো স্কুল পড়ুয়াদের কথায়, “কুয়োর জল নোংরা। এই জল থেকে রোগ ছড়াতে পারে। এখানে নতুন নলকূপ হলে ভাল হয়।”

Advertisement

সমস্যার কথা মানছে ব্লক-প্রশাসন। শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহের কথায়, “মধুপুর প্রাথমিক স্কুলের কাছে সজলধারার ট্যাপকল থেকে আর জল পড়ে না বলে শুনেছি। কল
মেরামতির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। সমস্যার সমাধানেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

শালবনির বিডিও পুষ্পল সরকারের যুক্তি, “মধুপুরের সমস্যা অন্য। ওখানে ৭০০- ৮০০ ফুট মাটি খুঁড়েও জলস্তর মিলছে না। ফলে, চাইলেও ওই এলাকায় নতুন গভীর নলকূপ করা যাচ্ছে না।” পুষ্পলবাবুর কথায়, “ওই এলাকায় গভীর নলকূপ করার চিন্তাভাবনা হয়েছিল। জলস্তর অনেক নীচে থাকায় একাধিকবার জায়গা বদল করতে হয়।” তাঁর দাবি, “মধুপুরের আশপাশে একাধিক গভীর নলকূপ করা হয়েছে। বাসিন্দারা ওখান থেকে জল নিয়ে আসেন। আগের থেকে ওই এলাকার জলের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। সজলধারা চালু হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যাই থাকবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন