মেচেদায় রেলসেতুর নীচে শালখুঁটির খাঁচা।
জেলার সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসন। পূর্ত দফতরকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবেন ইঞ্জিনিয়াররা। সেই মতো রোগ সারানোর ব্যবস্থা হবে। জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশে পূর্ত দফতর আগে থেকেই সেতুগুলো পরীক্ষা করছে। কংসাবতী, তমাল নদীর উপর যে সেতুগুলো রয়েছে সেগুলো বিশেষ ভাবে পরীক্ষার কথা পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছে। বিশেষ করে যে সেতুগুলোর উপর দিয়ে জাতীয় সড়ক গিয়েছে। কোথায় কী দরকার রয়েছে সবই দেখা হচ্ছে।’’
জেলার নির্দেশ পেয়ে পরিদর্শন শুরু করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। বড় সেতুগুলোর মধ্যে কয়েকটি যেমন পূর্ত দফতর দেখভাল করে, তেমন কয়েকটি জেলা পরিষদ এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দেখভাল করে। জেলা পরিষদের সচিব প্রবীর ঘোষ বলেন, “নিয়মমাফিক সব সেতুর পরিদর্শন করা হয়। এখনও হচ্ছে।’’ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির দাবি, “কয়েকটি সেতুর ব্যাপারে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
জেলার অনেক সেতুরই বিপজ্জনক পরিস্থিতি। সেতু জুড়ে অজস্র ছোটবড় গর্ত, ফাটল। ভারী লরি উঠলে দুলে ওঠে সেতুগুলো। প্রতিদিন কয়েকশো যানবাহন চলে করে সেতুগুলোর উপর দিয়ে। সেতুর মধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে। জেলার এক পূর্তকর্তার আশ্বাস, “সেতুগুলো পরীক্ষা করা চলছে। কিছু মেরামতের প্রয়োজন থাকতে পারে। তা করাও হবে।’’ কিছু সেতুর স্তম্ভ এবং কাঠামোও নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। ওই পূর্তকর্তার আশ্বাস, “পরীক্ষার সময় এই দিকটিও দেখা হচ্ছে।’’ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময়ের পরে যে কোনও সেতুরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “নিয়মিতই সেতুর পরীক্ষা হয়।’’ জেলার অনেকের অবশ্য অভিযোগ, অনেক সেতুরই দেখভাল ঠিক মতো হয় না।