চিকিৎসক নিয়মিত আসেন না থেকে খাবারের মান খারাপ— সরকারি হাসপাতালে অভিযোগের অন্ত নেই। ছবিটা বদলাতে এ বার পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাবে পুলিশ-প্রশাসনের যৌথ দল। দলে থাকবেন ডিএসপি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকেরা।
সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা জেলা কালেক্টরেটের সভাঘরে বুধবার ‘হসপিটাল পারফরমেন্স রিভিউ মিটিং’ ডেকেছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের এসপি, জেলাশাসক, বিভিন্ন হাসপাতালের সুপার ও স্বাস্থ্য কর্তাদের উপস্থিতিতে ওই নজরদারি দল গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের হেনস্থা রুখতে তৎপর হয়েছে মমতা সরকার। সম্প্রতি পাশ হয়েছে নয়া স্বাস্থ্য বিল। অনিয়ম রোধে জেলার নার্সিংহোমগুলিতেও অভিযান চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে এমন পুলিশি নজরদারি আগে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন একাংশ চিকিৎসক। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশের কাজ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের কাজে এ ভাবে পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপ যুক্তিসঙ্গত নয়।
প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরাও। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার ব্যাখ্যা, স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। সে রকম অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতেই এই ব্যবস্থা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষও বলেন, “সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্যই এই উদ্যোগ।”