নজরে সিভিক ভলান্টিয়াররা

কাজে যোগ দেননি কেন, জানতে তলব

জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ববর্তী নিয়োগের সময় কেউ কেউ সুযোগ পেয়েও কাজে যোগ দেননি, কেউ কেউ মাঝপথে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। কী কারণে কাজে যোগ দেননি কিংবা কী কারণে মাঝপথে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন, তা জানতেই এই বিভাগীয় পদক্ষেপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৭ ০০:৩৮
Share:

নতুন করে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, বছর তিনেক আগে যখন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ হয়েছিল, সেই সময় কাজ পেয়েও যোগ দেননি জঙ্গলমহলের এই জেলার শতাধিক যুবক। এ বার তাই তাঁদের তলব করার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যে এমন যুবকদের কাছে পুলিশের নোটিস পৌঁছনো শুরু হয়েছে। সেই নোটিসে জানানো হচ্ছে, কবে, কখন, কোথায় আসতে হবে। জেলার পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে ওঁদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় নথিভুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যা ৫,৮৯৮। এর মধ্যে ১০২ জন সুযোগ পেলেও চাকরিতে যোগদান করেননি। এই সময়ের মধ্যে ১৬জন সিভিক ভলান্টিয়ার মারা গিয়েছেন। ৫৩ জন কাজ ছেড়ে অন্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। আর নানা গুরুতর অভিযোগে ১৫ জনকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ববর্তী নিয়োগের সময় কেউ কেউ সুযোগ পেয়েও কাজে যোগ দেননি, কেউ কেউ মাঝপথে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। কী কারণে কাজে যোগ দেননি কিংবা কী কারণে মাঝপথে কাজ ছেড়ে দিয়েছেন, তা জানতেই এই বিভাগীয় পদক্ষেপ। ফের সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ হবে। তাই ওই যুবকেরা যদি জানিয়ে দেন, তাঁরা আর কাজে যোগ দেবেন না, তাহলে নতুন শূন্যপদ সৃষ্টি হবে। এই শূন্যপদে নতুনদের নেওয়ার সুযোগ থাকবে। পুলিশের নোটিস পাওয়ার কথা মানছেন মেদিনীপুরের এক যুবক। তিনি বলেন, “পুলিশ তলব করেছে। কী কারণে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে যোগ দিইনি তা জানাতে বলা হয়েছে। আমি জানিয়ে দেবো।’’ তাঁর কথায়, “ওই কাজ পেলেও অন্য চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পড়াশোনা শুরু করছিলাম। তাই সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে আর যোগ দেওয়া হয়নি।’’

Advertisement

২০-২৮ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যে সাড়ে ১৪ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করার কথা ছিল পুলিশের। এ জন্য গত ১৪ জুলাই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। আবেদনপর্ব শুরু হয়। অনেক আবেদন জমাও পড়ে। তবে রাজ্যের সাতটি পুরসভায় ভোটের জন্য নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে যাওয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। ভোট মিটলে ফের এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করেছিল রাজ্য। ফের দ্বিতীয় দফায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হবে। ঠিক হয়েছে, এ বার আবেদনের ভিত্তিতে আগে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। তারপরে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। গতবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মামলা পর্যন্ত হয়েছিল। এ বার তাই ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হবে। এই মুহূর্তে জেলায় ১৮৬টি পদ খালিই রয়েছে। পুলিশের এই সূত্র জানাচ্ছে, কাজে যোগ না- দেওয়া কিংবা মাঝপথে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়া যুবকেরা যদি জানিয়ে দেন আর কাজে ফিরবেন না, তাহলে এই পদে নতুনদের নেওয়ার সুযোগ থাকছে। সেই ক্ষেত্রে বিভাগীয় অনুমোদন নিয়ে এই শূন্যপদে নতুনদের নেওয়া হবে। সেই মতো জেলায় ঠিক কতগুলি পদে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ হবে তা চূড়ান্ত করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন