ফাইল চিত্র।
সহকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে বিক্ষোভ দেখিয়ে আগেই কাজ হারিয়েছিলেন ৮জন ট্রেন চালক। এ বার বি ক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর, মারধর, সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগে ওই ৮জনের বিরুদ্ধে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করলেন রেল কর্তৃপক্ষ। একই ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করেছেন নিগৃহীত সাংবাদিকও। ট্রেন চালকেরা অবশ্য আন্দোলন থেকে সরে আসছেন না।
সোমবার খড়্গপুর টাউন থানায় রেলের সিনিয়ার ক্রু কন্ট্রোলার সুনীল কুমার মোট ৯জন ট্রে চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন। আবার সদ্য হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়া আক্রান্ত চিত্র সাংবাদিক সৈকত সাঁতরা এ দিনই ওই ৮জনের নামে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা রুজু করেছেন। এ দিন খড়্গপুরের এসডিপিও রাহুল দে বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা করা হবে।”
এ দিনই বিকেলে খড়্গপুরের বোগদায় ডিআরএম অফিসে জমায়েত করে স্মারকলিপি দেন ট্রেন চালকেরা। বরখাস্ত হওয়া ৮জন ট্রেন চালককে ফের চাকরিতে পুনর্বহাল, মৃত ট্রেন চালকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে এই কর্মসূচি ছিল রেলের ‘অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং অ্যাসোসিয়েশনে’র। রেলের লোকো পাইলট বা চালকদের সুপারভাইজার দুই সিনিয়ার চিফ ক্রু কন্ট্রোলারকে বদলির দাবিও তুলেছে ওই সংগঠন।
গত শনিবার সকালে পুরাতনবাজারের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রেলের সহকারী চালক গুড্ডুকুমার কেশরীর ঝুলন্ত দেহ। রেল কর্তৃপক্ষ ছুটি না দেওয়ায় গুড্ডুকুমার অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন, এই অভিযোগ তুলেই একাংশ ট্রেন চালক বোগদায় ‘কম্বাইন্ড ক্রু লবি’ অফিসে ভাঙচুর চালান। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যম। চালকদের কর্মবিরতিতে বিপর্যস্ত হয় ট্রেন চলাচল। তার পরেই বিক্ষোভে জড়িত ৮জন ট্রেন চালককে বরখাস্ত করে রেল। ট্রেন চালক সংগঠনের খড়্গপুর ডিভিশনের সম্পাদক উৎপলকুমার পাত্র বলেন, “যাদের রেল কর্তৃপক্ষ কর্মচ্যুত করেছে তারা ওই আন্দোলনে ছিল না বলে আমরা জেনেছি। তাই আমরা ওদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আমাদের সুপাইভাইজারদের বদলির দাবি জানাচ্ছি।” চালকদের সুপারভাইজার সিনিয়র ক্রু কন্ট্রোলার সুনীল কুমারের বক্তব্য, “মৃত চালক ব্যক্তিগত কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাই আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তার কোনও ভিত্তি নেই।”