দুর্ঘটনা: ট্রেনের চাকা চাপা পড়ে মৃত্যু রেলকর্মীর। নিজস্ব চিত্র
মাসখানেক আগে ট্রেন শান্টিংয়ের সময় হাওড়ার লিলুয়া কারশেডে ট্রলি ওয়াগনের দেওয়ালে পিষে মৃত্যু হয় এক রেলকর্মীর। এ বার মালগাড়িতে মেরামতির কাজের সময় ট্রেনের চাকা চাপা পড়ে এক রেলকর্মীর মৃত্যু হল খড়্গপুরের রেল কারখানার ওয়াগন শপে। শুক্রবারের ওই ঘটনায় মৃত প্রণয় সরকার কুমার (৩৫) শপের হেল্পার পদে কর্মরত ছিলেন। আদতে পুরুলিয়ায় বাসিন্দা ওই রেলকর্মী খড়্গপুরের খরিদা এলাকায় থাকতেন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দু’য়েক আগে খড়্গপুরের ওয়াগন শপে একটি মালগাড়ি আসে। শপের কর্মীদের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন মেরামতির আগে মালগাড়িতে থাকা পণ্য খালাস করে দিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পণ্য খালাস করার আগেই হেল্পারদের মেরামতির কাজে পাঠানো হয়। অভিযোগ, মেরামতি চলাকালীন প্রণয়বাবু মালগাড়ির একটি বগির দরজা খুলতেই তাঁর গায়ে এসে পড়ে ট্রেনের তিনটি চাকা। ওই চাকা চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রণয়বাবুর।
কেন মালগাড়ির পণ্য খালাস না করেই মেরামতির কাজ শুরু করা হল, তা নিয়ে এ দিন বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার রেল কর্মীরা। রেলের মেনস্ ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক অজিত ঘোষাল বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। এই ঘটনায় যাঁদের গাফিলতি রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ খড়্গপুর হাসপাতালে গিয়ে ওয়াগন শপের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন তৃণমূলের শহর সভাপতি প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিকেরা ন্যায্য দাবিতে বিক্ষোভ দেখালে রেল চাকরি কেড়ে নেয়। এখন একজন হেল্পারের মৃত্যুতে আধিকারিকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’’ এ বিষয়ে জানতে কারখানার চিফ ওয়ার্ক ম্যানেজার অনিলকুমার গুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।