shelter home

shelter homes: ফের হোমছুট কিশোরী

মেদিনীপুরের সরকারি হোম থেকে আবাসিক পালানোর ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছরে এ নিয়ে তিন দফায় হোমছুটের ঘটনা ঘটল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

মেদিনীপুরে হোমছুটের ঘটনায় রাশ নেই। বুধবার সন্ধ্যা। মেদিনীপুরের বালিকা হোম কর্তৃপক্ষের খেয়াল হয় যে, হোমের চার কিশোরী নেই। তারা নিখোঁজ। মুহূর্তে হোম চত্বরে শোরগোল পড়ে। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। খোঁজ না- পাওয়ায় পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে রাতের দিকে একে একে চার কিশোরীরই খোঁজ মেলে। তাদের উদ্ধার করে হোমে আনা হয়।

Advertisement

জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক শুভেন্দুশেখর মণ্ডল জানাচ্ছেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। কিছু বলতে পারবেন না। চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সন্দীপ দাসের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দফতরের এক সূত্রের দাবি, তিনি হোম পরিদর্শনে গিয়েছেন। কিছু বলতে চাননি হোমের সুপার স্বাতী সামন্তও। হোমের অন্য এক আধিকারিকের মতে, ‘‘হোমছুটের ঘটনা ঘটেইনি! এক সময়ে চারজনের খোঁজ মিলছিল না। পরে পরেই তাদের সকলের খোঁজ মিলেছে। এটাকে হোমছুট বলা যায় না!’’ প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, চার কিশোরী নিখোঁজ, এ খবর পেয়ে বুধবার রাতেই হোমে গিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক কেমপা হোন্নাইয়া। ছিলেন জেলা পুলিশের আধিকারিকেরাও। শুরুতে এক আবাসিকের খোঁজ মিলেছিল বলে হোমেরই এক সূত্রের দাবি। পরে পরে আরও তিন আবাসিকের খোঁজ মেলে রাতের দিকে। কী ভাবে তারা পাঁচিল ঘেরা এই হোম থেকে পালিয়েছিল, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি হোম কর্তৃপক্ষও। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একটা ঘটনা ঘটেছিল। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

মেদিনীপুরের সরকারি হোম থেকে আবাসিক পালানোর ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছরে এ নিয়ে তিন দফায় হোমছুটের ঘটনা ঘটল। গত এপ্রিলে চারজন পালিয়েছিল। গত জুলাইয়ে তিনজন পালিয়েছিল। মেদিনীপুরের রাঙামাটিতে রয়েছে এই সরকারি বালিকা হোম। বিভিন্ন মহলের মতে, বারবার হোমছুটের দায় জেলা সমাজকল্যাণ দফতর এড়াতে পারে না। তাদের তরফে নজরদারির অভাব রয়েছে। হোম কর্তৃপক্ষও দায়ী। হোমের প্রবেশদ্বারে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে।। কিন্তু নিয়মিত নজরদারি চালানো হয় না বলেই অভিযোগ। বেশিরভাগ সময়েই দেখা গিয়েছে, শৌচাগারের জানলা ভেঙে না কি আবাসন থেকে হোম চত্বরে বেরোয় হোমছুটেরা। তারপরে তারা পাঁচিল টপকে পালায়। কী ভাবে উঁচু পাঁচিল টপকায়? পাঁচিলের উপরে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। কাঁটাতারে না কি ওড়না জড়ায় ওই কিশোরীরা। পরে তারা ওই ওড়না ধরে পাঁচিলে ওঠে। লাফ মেরে চম্পট দেয়। অনেকের মতে, একাংশ কর্মীর কর্তব্যে গাফিলতি এবং মদত না- থাকলে এ ভাবে বারবার হোমছুটের ঘটনা ঘটতে পারে না। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের আশ্বাস, ‘‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রুখতে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে।’’

Advertisement

কী ভাবে খোঁজ মিলল ওই কিশোরীদের? জানা যাচ্ছে, রাঙামাটির কাছে এক কিশোরীকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় এক বাইক চালকের। তিনি তাঁর পরিচিত হোমের এক কর্মীকে খবরটি দেন। পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। রাতের দিকে ওই এলাকার অদূর থেকেই আরও তিন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন