সিপিএমের স্লোগানে ঝাঁঝ এনেছেন রিয়া

স্লোগানের এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

বরুণ দে

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৮
Share:

পথে-প্রতিবাদে রিয়া। —নিজস্ব চিত্র।

মেয়েটার স্লোগানে ঝাঁঝ আছে তো!

Advertisement

সিঙ্গুর থেকে রাজভবন পদযাত্রায় এক তরুণীর স্লোগান শুনে অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছিল এমন কথা। কী এমন স্লোগান তুলেছিলেন ওই তরুণী ও তাঁর সঙ্গীরা,যাতে এমন প্রতিক্রিয়া। পদযাত্রায় তাঁদের বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘সিঙ্গুর থেকে শালবনি, খেতমজুরের কান্না শুনি’, ‘চোর- গুন্ডা দেশ চালায়, পুলিশ লুকায় টেবিলের তলায়’, ‘এই বিজেপির অনেক গুণ, ধর্মের নামে মানুষ খুন’, ‘কৃষক মরলে রটনা, নারী নির্যাতন ছোট ঘটনা’। স্লোগানের এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বাম রাজনীতির উল্লেখযোগ্য অংশই হল স্লোগান। কিন্তু রাজ্যে যত শক্তিক্ষয় হয়েছে বামেদের ততই যেন ভাটা পড়েছে তীক্ষ্ম স্ল‌োগানে। সিঙ্গুর থেকে রাজভবন পদযাত্রায় দেখা গেল ব্যতিক্রম। এক তরুণী সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। তাতে সুর মেলাচ্ছেন আরও অনেকে। রিয়া মাইতি। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বাখরাবাদের রিয়ার স্লোগানেই আপাতত বুঁদ বাম কর্মী, সমর্থকদের একাংশ। ঘটনাচক্রে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বাড়িও এই নারায়ণগড়ে। সপ্তাহখানেক আগে মেদিনীপুরে দলের সাধারণ সভায় এসেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। সেই সভাতেও স্লোগান দেওয়ার ডাক পড়েছিল রিয়ার উপরে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এই ছাত্রীকে এখন এক ডাকে চেনেন বিমান বসু থেকে সূর্যকান্ত মিশ্র- সকলেই।

Advertisement

রিয়া সম্পর্কে সূর্যকান্ত বলছেন, ‘‘রিয়া একা নন, অল্পবয়সী অনেকেই এই কাজটা করছেন। এক সময় সলিল চৌধুরীরা এ ভাবেই শুরু করেছিলেন। তবে রিয়াদের অল্প বয়স। ওঁদের স্লোগানের বিষয়বস্তু রাজনৈতিক ভাবে আরও পরিণত হওয়া জরুরি। বড়রা সাহায্য করছেন। আশা করি ওঁরা আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাবেন।’’ মেদিনীপুরে সূর্যকান্তের সভায় এসে রবীন দেবকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘রিয়ারা একটা আন্দোলনের ফসল। সংগ্রামের ফসল।’’

খড়্গপুর কলেজের ছাত্রী ছিলেন রিয়া। কলেজে এসএফআইকে সমর্থন করতেন। তবে কখনও এ ভাবে স্লোগান তোলেননি। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী রিয়া বললেন, ‘‘আমি নিজেও জানতাম না স্লোগানটা এ ভাবে ভাইরাল হয়ে যাবে। মিছিলে ছিলাম। স্লোগান দিয়েছি। স্লোগানের ভিডিও তোলা হয়েছে বলেও তখন জানতাম না। পরে জেনেছি, দেখেছি।’’ বামপন্থী পরিবারের মেয়ে। তবে পরিজনেরা সক্রিয়ভাবে সিপিএম করেন না। রিয়ার কথায়, ‘‘পরিবার সিপিএম সমর্থক। আমারও সিপিএমকে ভাললাগে। সেই ভাললাগা থেকেই ডিওয়াইএফ করি।’’

এখন তো দলের সকলেই রিয়াকে কমবেশি চেনে? বাখরাবাদের তরুণী বলছেন, ‘‘অনেকে বলেছেন, স্লোগানটা ভাল ছিল। এরপর আরও ভাল স্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন