চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দু’বছর ধরে বেহাল হয়ে থাকা গ্রামীণ পাকা সড়ক মেরামতির দাবি তুলে তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন এলাকার বাসিন্দারা। সোমবার সকালে তমলুক থানার দামোদরপুর এলাকায় স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা সকাল দশটা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে তমলুক থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তমলুক –পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে দামোদরপুর থেকে রাজগাছতলা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা কয়েক বছর আগে পাকা করা হয়। কিন্তু দু’বছর আগে বন্যার জেরে ওই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর গত বছর রাস্তার মাত্র দেড় কিলোমিটার অংশ মেরামত করা হলেও বাকি অংশ আর সারানো হয়নি। ফলে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ বেহাল হয়ে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তা সারানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হলেও কাজ হয়নি।
জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে হরিদাসপুর বাজারের কাছে অনন্তপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েতের দামোদরপুর থেকে রাজগাছতলা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে স্থানীয় দামোদরপুর, শালিকা গড়চক, আশুদা পাইকবাড়, চক কাশমালি, চক শ্রীরাধা, রাজগছতলা প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা নিত্য যাতায়াত করেন। ২০১৩ সালে পাঁশকুড়ায় কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যার জেরে এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ায় ওই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বছর দামোদরপুর থেকে শালিকা গড়চক পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা মেরামতি করা হলেও বাকি রাস্তা এখনও বেহাল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় বছর চারেক আগে ওই গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। রাস্তা নির্মাণের পর পাঁচ বছর তা মেরামতির দায়িত্ব ঠিকাদার সংস্থার। রাস্তা মেরামতির জন্য জন্য টাকা কেটে রাখা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালে বন্যায় ওই পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে যে পরিমাণ টাকা দরকার ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে কেটে রাখা টাকায় তা সম্ভব নয়। আর গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা মেরামতির টাকা জেলা পরিষদের হাতে থাকে না। ফলে রাস্তা মেরামতি জেলা পরিষদের পক্ষে সম্ভব নয়। টাকা চেয়ে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে জানানো হবে।