থমকে রাস্তার কাজ, অবরোধ

মাত্র সা়ড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা। পাকা করার কাজ শুরু হয়েছিল আড়াই বছর আগে। সে কাজ শেষ করা যায়নি আজও। প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকালে পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুর বাজারের কাছে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ০০:৪০
Share:

বেহাল: রাস্তার এমনই অবস্থা পুরুষোত্তমপুর বাজারে। নিজস্ব চিত্র

মাত্র সা়ড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা। পাকা করার কাজ শুরু হয়েছিল আড়াই বছর আগে। সে কাজ শেষ করা যায়নি আজও। প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকালে পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুর বাজারের কাছে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে পুরুষোত্তমপুর বাজার থেকে রাজনারায়ণচক পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার মোরাম রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা করার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ। কাজ সম্পূর্ণ করার সময়সীমা ছিল ২০১৫ সালের জুন মাসে। ২০১৭ সালে মে মাসের শেষেও সে কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরুষোত্তমপুর বাজারের কাছে প্রায় ৩০০ মিটার এবং মানিকেরপুল থেকে শ্রীকৃষ্ণপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। তার উপর রাস্তার ওই দুই অংশ এমনই বেহাল, যে যাতায়াত করাই বিপজ্জনক।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণেই পুরুষোত্তমপুর এলাকায় ওই রাস্তাটি পাকার কাজ ব্যহত হচ্ছে। রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’

Advertisement

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন স্থানীয় শ্রীকৃষ্ণপুর, কামারবেড়িয়া, মহম্মদমুরাদ, কলাগেছিয়া, বৈদিবাড়, মহাডোল-সহ এলাকার প্রায় ৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা। ঘোলমাগুরি গ্রামের বাসিন্দা অমল ভৌমিক প্রতিদিন মোটর বাইকে চেপে পুরুষোত্তমপুর বাজারে আসেন টিউশন করতে। অমলবাবু বলেন, ‘‘এই রাস্তা দিয়ে দিনে তিন যাতায়াত করি। খানাখন্দে পড়ে কোনদিন যে দুর্ঘটনা ঘটবে, সেই ভয়ে থাকি।’’ ভ্যানচালক নবকুমার বারিক, কৃষক কানাইলাল জানা বলেন, ‘‘আগে মোরাম রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আশা করেছিলাম পাকা রাস্তা হয়ে গেলে সব সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু সে সমাধান দূর অস্ত। বরং গত তিন বছরে কিছু কিছু এলাকায় রাস্তা আরও বেহাল হয়েছে।

পুরুষোত্তমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিআইয়ের দীপককুমার মাইতি বলেন, ‘‘রাস্তা পাকার কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দিষ্ট সময় প্রায় দু’বছর পার হতে চলল। দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করতে জেলা পরিষদের
কাছে জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন