খড়্গপুরে অন্ধকার ওটি রোডেই চলছে যাতায়াত। — নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা সম্প্রসারণ করেই দায় সেরেছে প্রশাসন। খড়্গপুরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ওটি রোডের সব অংশে বসানো হয়নি পথবাতি। রাত হলে আঁধারেই যাতায়াত করে গাড়ি। রয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।
২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ওটি রোডের ইন্দা থেকে চৌরঙ্গী অংশে সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে ঠিক ছিল, পাঁচ মিটার রাস্তা সম্প্রসারণ করে ১০ মিটার চওড়া করা হবে। পরে ডিভাইডার বসানোর জন্য রাস্তা ১২ মিটার চওড়া করা হয়। সম্প্রসারণের কাজের পর বর্তমানে রাস্তায় ডিভাইডার বসানোর কাজ চলছে। ইন্দা থেকে আনন্দপুর পর্যন্ত অংশে রাস্তার একটি লেনে পথবাতিও বসিয়েছে পুরসভা। যদিও রাস্তার অন্য লেনে আলো আঁধারির মধ্যে যাতায়াত করছে গাড়ি। ওটি রোডের আনন্দপুর থেকে চৌরঙ্গী অংশে এখনও পথবাতি বসানোই হয়নি। ওই এলাকা পঞ্চায়েতের অধীন হওয়ায় পথবাতি কে বসাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। অন্ধকার রাস্তায় বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
ইন্দার সারদাপল্লির বাসিন্দা প্রহ্লাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তা চওড়া হওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু আলো না থাকায় রাতে এই রাস্তা রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। যান নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করাও প্রয়োজন। পুরসভা ও মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডি)-এর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।”
খড়্গপুর শহরের প্রবেশপথ ওটি রোডের সৌন্দর্যায়নের দাবিও উঠেছে। রাস্তা চওড়া হওয়ার আগেই চৌরঙ্গীর কাছে একটি গেট তৈরি করার কথা ছিল এমকেডিএ-র। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়। নানা টালবাহানায় সেই গেট এখনও তৈরি হয়নি। রাস্তা চওড়া হওয়ার পর নতুন করে গেটের নকশা বদল করা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আলো না থাকায় রাতে সমস্যা হচ্ছে এটা ঠিক। পুরসভা এলাকায় রাস্তার একদিকে আলো বসানো রয়েছে। রাস্তার অন্য লেনেও আলো বসানো হবে।’’ তিনি আরও জানান, পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তায় এমকেডিএ পথবাতি না বসালে আমরা ভাবনাচিন্তা করব। রাস্তায় সৌন্দর্যায়নের বিষয়ে চিন্তা করা হবে।
এ বিষয়ে এমকেডিএ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আসিফ ইকবাল চৌধুরী বলেন, “রাস্তায় এখনই পথবাতি বসানোর ভাবনাচিন্তা নেই। বোর্ড মিটিংয়ে কোনও সদস্য এ বিষয়ে প্রস্তাব দিলে ভেবে দেখা হবে। তবে সে ক্ষেত্রে পুরসভাকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে।”