Panskura

ভালবাসার মরসুমে মহার্ঘ গোলাপ

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ফুল বাজারগুলিতে মূলত মিনিপল প্রজাতির লাল গোলাপের চাহিদা থাকে বেশি। মিনিপল ছাড়াও অন্য প্রজাতির গোলাপও চাষ হয় দুই মেদিনীপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩০
Share:

বাগান থেকে তোলা হচ্ছে গোলাপ। নিজস্ব চিত্র

এক সপ্তাহ পরেই ভ্যালেন্টাইনস ডে। এরই মধ্যে দাম বাড়তে শুরু করেছে গোলাপের। কিন্তু ফুল সংরক্ষণের একমাত্র সরকারি হিমঘর বন্ধ থাকায় এবারও ভ্যালেন্টাইনস ডে'র আগে গোলাপ সংরক্ষণ করতে পারছেন না চাষিরা।

Advertisement

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ফুল বাজারগুলিতে মূলত মিনিপল প্রজাতির লাল গোলাপের চাহিদা থাকে বেশি। মিনিপল ছাড়াও অন্য প্রজাতির গোলাপও চাষ হয় দুই মেদিনীপুরে। পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকার গোপীনাথপুর থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত কংসাবতী নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার চরে গোলাপ চাষ হয়। এছাড়া, পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে গোলাপের চাষ হয়। এবার বড়সড় কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়নি। তাই অন্য ফুলের পাশাপাশি গোলাপের উৎপাদনও বেশ ভাল হচ্ছে। জানুয়ারিতে গোলাপের দাম খুব বেশি না থাকলেও ফেব্রুয়ারি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোলাপের দাম বাড়তে শুরু করে। ইতিমধ্যে এক একটি গোলাপ ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গোলাপ চাষিরা জানাচ্ছেন, কয়েকদিনের মধ্যে এই দাম দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভ্যালেন্টাইনস ডে'র আগে পাঁশকুড়ার গোলাপ ভিন্‌রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি হয়। তবে ফুল সংরক্ষণের একমাত্র সরকারি হিমঘর বন্ধ থাকায় এবারও ভ্যালেন্টাইনস ডে'র আগে গোলাপ সংরক্ষণ করতে পারছেন না চাষিরা। পাঁশকুড়ার পারলঙ্কা গ্রামের গোলাপ চাষি শীতল সামন্ত বলেন, ‘‘সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ করি। ভ্যালেন্টাইনস ডে'র সময় গোলাপের সর্বাধিক হয়। এবারও ভ্যালেন্টাইনস ডে'র আগে থেকে গোলাপের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু ফুল সংরক্ষণের একমাত্র হিমঘর হিমঘর বন্ধ থাকায় এবারও আমরা গোলাপ সংরক্ষণ করতে পারলাম না।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, করোনায় লকডাউন পর্বে পাঁশকুড়ায় সরকারি হিমঘরের যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যায়। সেই থেকে ফুল সংরক্ষণের একমাত্র সরকারি হিমঘর বন্ধ। সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘ফুল সংরক্ষণ করতে পারলে ফুলচাষিরা লাভবান হন। আমরা চাই ফুল সংরক্ষণের একমাত্র সরকারি হিমঘরটি অবিলম্বে চালু হোক।’’ এ বিষয়ে জেলা উদ্যান পালন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর দীপক কুমার ষড়ঙ্গী বলেন, ‘‘হিমঘরটি চালু করার ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন