তফসিলি পড়ুয়াদের বরাদ্দ পেতে দেরি

গত শিক্ষাবর্ষের বৃত্তির টাকা এখনও মেলেনি। আর চলতি শিক্ষাবর্ষের টাকা এসে পড়ে থাকলেও স্কুলগুলিকে তা দেওয়া যায়নি। কখনও সরকারি গাফিলতিতে বরাদ্দ পেতে দেরি হচ্ছে, আবার কখনও স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় টাকা পেতে দেরি হচ্ছে। ফলে, সমস্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৬ ০৬:৫৭
Share:

গত শিক্ষাবর্ষের বৃত্তির টাকা এখনও মেলেনি। আর চলতি শিক্ষাবর্ষের টাকা এসে পড়ে থাকলেও স্কুলগুলিকে তা দেওয়া যায়নি। কখনও সরকারি গাফিলতিতে বরাদ্দ পেতে দেরি হচ্ছে, আবার কখনও স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় টাকা পেতে দেরি হচ্ছে। ফলে, সমস্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে।

Advertisement

গত শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রাবাসে থাকা তফসিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্র বৃত্তির প্রায় ৯ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। সম্প্রতি বকেয়া টাকার সিংহভাগ এসে পৌঁছেছে। তফসিলি উপজাতিদের জন্য বকেয়া প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকায় দিয়ে দিয়েছে সরকার। কিন্তু তফসিলি জাতির ছাত্রছাত্রীদের বকেয়া আড়াই কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা এসে পৌঁছেছে। ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দেওয়ার জন্য ব্লক স্তরে বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে বলে জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ আধিকারিক সন্দীপ টুডু জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সেই টাকা স্কুল কী ভাবে পাবে তা নিয়ে। কারণ, তাঁদের মধ্যে যে সব ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে স্কুলের যোগাযোগ কম। ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী যেমন বলেন, ‘‘ছাত্রাবাসে থাকা প়ড়ুয়াদের অনেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি। তার উপর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পড়তে চলে যায়। যেহেতু ছাত্রদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে তাই টাকা পেতে দেরি হলে সে টাকা আদায় করতে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকার দ্রুত টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে ভাল হয়।’’

উল্টোচিত্রও রয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের টাকা ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে। কিন্তু স্কুলগুলি ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের তালিকা না দিতে পারায় অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর টাকা দিতে পারছে না। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ আধিকারিক বলেন, “জুলাই মাস পর্যন্ত টাকা এসে গিয়েছে। কিন্তু স্কুলগুলি তালিকা না পাঠানোয় দিতে পারছি না। চলতি মাসের মধ্যেই তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।’’ কেন নামের তালিকা পাঠাতে দেরি হচ্ছে? জয়পুর এসসি, এসটি এবং বিসি স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মিত্র বলেন, ‘‘এ বার নির্বাচনের কারনে নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা যায়নি। এবার শীঘ্রই তা করে দেব।’’

Advertisement

জঙ্গলমহলের এই জেলায় তফসিলি জাতি-উপজাতির ছাত্রছাত্রীদের নিখরচায় পড়াশোনার জন্য ছাত্রাবাস রয়েছে ৪৫৫টি। সেখানে প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার ছাত্রছাত্রী থাকে। এদের জন্য বরাদ্দ টাকা পেতে দেরি হলে সমস্যার অন্ত থাকে না। প্রধান শিক্ষকদের মতে, টাকা পেতে দেরি হলে মুদি দোকান থেকে চাল, কাঠ-দোকানদারদের কাছ থেকে নানা কথা শুনতে হয়। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেরির বিষয়টি অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা বছরের শেষ দিন পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের তালিকা পাঠাতে থাকেন। তারপর সরকারের কাছে সেই টাকা দাবি করা হয়। ফলে টাকা পেতেও দেরি হয়। এ বার থেকে যাতে বছরের শুরুতেই ছাত্ররাবাসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের তালিকা পাঠিয়ে টাকতা দাবি করা যায় সেই পধে এগোতে চাইছে দফতর। তাই চলতি মাসের মধ্যেই সকলকে ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গড়বেতায় মিছিল। গড়বেতায় বিজয় মিছিল করল তৃণমূল। শনিবার এই মিছিলে ছিলেন এলাকার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী, দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ প্রমুখ। ২০১১ সালেও গড়বেতার গড়রক্ষা করেছিল সিপিএম। তবে তৃণমূল জিতেছে। এর আগে অঞ্চল ভিত্তিক বিজয় মিছিল হয়েছে। এ দিন কেন্দ্রীয় ভাবে বিজয় মিছিল হল। মিছিল থেকে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বার্তা, এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন