শিক্ষিকারা দেরিতে স্কুল আসায় স্কুলের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি। বুধবার দাসপুরের শিবরা বালিকা বিদ্যালয়ের এই ঘটনার জেরে স্কুলে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও পরে স্কুল শুরু হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা ঢালি সরকার বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট সময়েই স্কুলে আসি। স্কুলের বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমি মুখ খোলায় সভাপতি এই কাজ করেছেন।”
যদিও স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি পলাশ কান্তি বেরা বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই প্রধান শিক্ষিকা-সহ বেশ কিছু শিক্ষিকা নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে স্কুলে আসেন। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। তাই আমি তালা লাগিয়েছিলাম।”
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দাসপুর-২ ব্লকের শিবরা বালিকা বিদ্যালয়ে এ দিন প্রার্থনা শুরুর ঠিক আগে দলবল নিয়ে হাজির হন স্কুলেরই পরিচালন কমিটির সভাপতি। ১০টা ৪৫-এর পরেও প্রধান শিক্ষিকা না আসায় সভাপতি নিজেই মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। তালা ঝোলানোর বিষয়টি চাউর হতেই স্কুলে জড়ো হয়ে যায় স্কুলের অভিভাবক-সহ গ্রামবাসী। কিছুপরেই স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্যরা। মূল গেটে তালা লাগানো থাকায় তাঁরা স্কুলে ঢুকতে পারেননি। পরে সভাপতি নিজেই তালা খুলে দেন।
আচমকাই মেয়েদের স্কুলে তালা ঝোলানোর বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি স্কুলের অনান্য শিক্ষিকারাও। প্রার্থনা শেষ হতেই অন্য শিক্ষিকারাও বাইরে চলে আসেন। তাঁরাও প্রধান শিক্ষিকরা পক্ষ নিয়ে বাইরেই অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রায় আধঘন্টা পর স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের আর্জি মেনে প্রধান শিক্ষিকা-সহ শিক্ষিকারা স্কুলে ঢুকেন। শুরু হয় ক্লাস। যদিও এদিন প্রধান শিক্ষিকা হাজিরার খাতায় সই করেননি।