দুর্ঘটনা রুখতে উদ্যোগ

জাতীয় সড়কের পাশে স্কুল, পাঁচিল তোলার তোড়জোড়

স্কুলের পাশ দিয়েই গিয়েছে জাতীয় বা রাজ্য সড়ক। অথচ স্কুল চত্বরে নেই কোনও সীমানা প্রাচীর। ফলে, কখনও স্কুলের পড়ুয়ারা আচমকা সড়কে চলে এলে দুর্ঘটনা নিশ্চিত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অনেক স্কুলের ছবিটা এমনই। পরিস্থিতি দেখে এ বার এমন স্কুলে সীমানা প্রাচীর তৈরি করতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪২
Share:

স্কুলের পাশ দিয়েই গিয়েছে জাতীয় বা রাজ্য সড়ক। অথচ স্কুল চত্বরে নেই কোনও সীমানা প্রাচীর। ফলে, কখনও স্কুলের পড়ুয়ারা আচমকা সড়কে চলে এলে দুর্ঘটনা নিশ্চিত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অনেক স্কুলের ছবিটা এমনই। পরিস্থিতি দেখে এ বার এমন স্কুলে সীমানা প্রাচীর তৈরি করতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোকে এ ব্যাপারে জেলায় প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। জেলা থেকে রাজ্য হয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে কেন্দ্রের সর্বশিক্ষা মিশনের কাছে। প্রস্তাব মঞ্জুর করে মিশন থেকে অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ শুরু হবে। জেলার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, “জাতীয় সড়কের পাশে থাকা বেশ কিছু স্কুলে সীমানা প্রাচীর নেই বলে শুনেছি। ওই সব স্কুলে সীমানা প্রাচীর তৈরি করার পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা থেকে নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হবে।”

জেলা শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, “প্রতি বছর সর্বশিক্ষা মিশনের কাছে নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে হয়। সেই মতো মিশন অর্থ বরাদ্দ করে। এ বার সীমানা প্রাচীর তৈরির দিকটিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বার জেলায় প্রকল্প-প্রস্তাব তৈরি হবে। পরে এই প্রকল্প-প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হবে। জেলায় প্রকল্প-প্রস্তাব তৈরির আগে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে।” ওই শিক্ষা-কর্তার কথায়, “প্রতিটি স্কুলেরই সীমানা প্রাচীর থাকা উচিত। সীমানা প্রাচীর থাকলে স্কুলের নিরাপত্তার দিকটিও সুনিশ্চিত হয়। আশা করি, সর্বশিক্ষা মিশন এমন প্রস্তাবে সাড়াই দেবে।”

Advertisement

জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগেই জেলা থেকে এ ব্যাপারে ব্লকে ব্লকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। জেলার নির্দেশিকা পৌঁছয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছে। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা নির্দেশিকাটি স্কুলগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেন।

পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা প্রায় চার হাজার। উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। এর মধ্যে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা ঠিক কতগুলো স্কুলের সীমানা প্রাচীর নেই? জেলার এক শিক্ষা- কর্তা বলেন, “এমন স্কুলের সংখ্যা ঠিক কত তা এখনই বলা সম্ভব নয়। সবে জেলায় প্রস্তাব জমা পড়তে শুরু করেছে। সমস্ত প্রস্তাব জমা পড়ে গেলে এ ব্যাপারে বলা সম্ভব হবে।” জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, শুধু সীমানা প্রাচীর নয়, যে সব স্কুল চত্বরের মধ্যে পুকুর রয়েছে, সেই সব স্কুলের পুকুরের চারপাশও প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দিতে পদক্ষেপ করা হবে। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোকে জেলায় প্রস্তাব পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। জেলার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, “বেশ কিছু স্কুল চত্বরে পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরের চারপাশেও প্রাচীর দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন