আদালতে গোপন জবানবন্দি

তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার কাঁথি আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন সুনীল দোলই। গত ২০ অগস্ট দিঘায় অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০০:০০
Share:

তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার কাঁথি আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন সুনীল দোলই। গত ২০ অগস্ট দিঘায় অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। ওই তরুণীর দেহ নিখোঁজ মেয়ের বলে শনাক্ত করেন দাসপুরের ধানখালের বাসিন্দা সুনীলবাবু। বাড়ি নিয়ে গিয়ে দেহ সৎকারও করে দেওয়া হয়। দাহ করার পরদিনই সুনীলবাবুর নিখোঁজ মেয়ে বছর পনেরোর মাম্পি দোলই বাড়ি ফিরে আসে। উত্তর ২৪ পরগনার কৈখালি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত রবিবার কলকাতার কালীঘাটে ওই তরুণীর পারলৌকিক ক্রিয়া সারেন সুনীলবাবুর ছেলে। সোমবার সকালে সুনীলবাবু দিঘা থানায় যান। সেখান থেকে তাঁকে কাঁথি আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।

Advertisement

এ দিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সুনীলবাবু বলেন, ‘‘মেয়ে টানা ১২-১৩ দিন নিখোঁজ থাকায় মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত ছিলাম। দিঘায় উদ্ধার হওয়া মৃত তরুণীর ছবি দেখে কাঁথি হাসপাতালের মর্গে যাই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই তরুণীর দেহ মাম্পির বলেই মনে হয়েছিল। যদিও দেহে পচন ধরায় ও ময়না-তদন্তের পর বিকৃতির জন্য মুখ দেখে কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না।’’ সুনীলবাবু বলেন, ‘‘দাসপুরের ধানখালে নিয়ে গিয়ে দেহটি সৎকারও করি। এরপরেই পুলিশ মাম্পিকে উদ্ধার করে। তখনই বুঝতে পারি মৃতদেহ শনাক্তকরণে আমার ভুল হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার ছেলে কালীঘাটে ওই তরুণীর পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।’’

কাঁথির এসডিপিও ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিঘায় উদ্ধার হওয়া তরুণীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement